“” নির্মম পরিহাস””
হৃদয়ে থাকে কষ্টের নদী
দু’চোখে ঝরে বারি,
কান্নার নোনাজলে শেষে
ডুবে যায় মনের তরী।
হৃদয় আকাশে আসে ফিরে
পশ্চিমের দুর্যোগ ঘনঘটা,
দু’চোখ আর পায়না খুঁজে
ফুটে ওঠা আলোছটা!
অবিরত ঝরে পড়ে চোখে
দুঃখের বেদনাশ্রু শুধু,
মন আঙ্গিনা ভিজিয়ে দিয়ে
দেখায় মরুর ধূ ধূ।
পশ্চিম আকাশের দুর্যোগের ন্যায়
আসে ঝড় অবিরত,
ভেঙ্গে যাওয়া মন কে
করে দিতে বেদনাহত।
যতই থাকুক প্রত্যাশা মনে
ওঠে দাঁড়াবে আবার,
ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে শেষে
হয়না দাঁড়ানো আর।
“” বাকরুদ্ধ””
ক্ষুদ্র স্বার্থের কারণে
শুভাকাঙ্খীও হয় পর,
ভুলেও রাখে না যারা
সৌজন্য বশত খবর।
পারে না তাঁরা গাইতে
সুমধুর সাম্যের গীত,
অসাম্যের বীজ বপন করে
গড়ে ঘৃণারই ভীত।
অন্যের তরে নিজেকে যতই
করা হউক বিলীন,
তবুও ক্ষান্ত না দিয়ে
করে ব্যবহার অশালীন।
আপনারে লয়ে ব্যস্ত থেকে
কাটায় দিবা নিশি,
নিজ বুঝ ষোলকলা বুঝে
বাজায় সুখের বাঁশি।
অপরের ফলাফল শূন্য রেখে
করে তীর বিদ্ধ,
শূন্য ফলাফল পেয়ে শেষে
হতে হয় বাকরুদ্ধ।
“” মনের অনুর্ভরতা””
কতো জনকেই তো দেখি
যাদের মুখ মুখোশে ঢাকা,
হীন স্বার্থ উদ্ধারে তারা
দিয়ে যায় মনে দাগা।
মনের জানালায় তাঁরা বাজায়
ভায়োলিনের করুণ সুর,
বুঝার উপায় নেই কোনো
কতটা যে হয় চতুর।
তা দেখে অসহায়জন ফেলে
বেদনাবভরা মনে দীর্ঘশ্বাস,
খুঁজে আর পায়না তাঁরা ঠিকানা
যেখানে আছে সুখের নিবাস।
বেদনার নীল কষ্ট ফুটে উঠে মুখময়
প্রতিবাদে বিপ্লব ঘটে না আর,
রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত মনের আর্তনাদ
থাকেও না কেহ আর শুনার।
চারিদিকে শুধু বাজে বেদনার সুর
সুর ছন্দের হয়না ঘাটতি,
পার্থক্য শুধু থাকে অনুধাবন আর উপলব্ধির
দুখের মাঝে সুখের কমতি।
যে পতিত জমিতে ছিলো একদা
নানাহ্ জনের পদধূলি,
মনের অশুভ অনুর্ভরতায় সেই জমি
ফসল শূন্যে আজ হয়েছে খালি।
“”অসাম্যের ক্ষত””
অযাচিত,অনাকাঙ্খিত ঘটনায়
প্রতিনিয়ত জন্ম দেয় দুর্ব্যবহার,
মানুষ হয়ে মানুষকেই এ এক
বঞ্চিত করার নির্মম হাতিয়ার।
সহাবস্থানের সুফলতার সব স্তম্ভ
নিমিষেই ভেঙ্গে দেয়ার অভিলাষ,
বাড়িয়ে দিয়ে হীন আকাঙ্ক্ষায়
করে যায় অপরের সর্বনাশ।
মানবতার সকল স্তম্ভ ব্যঙ্গ করে
হরহানেশাই করছে পদদলিত,
শুধু নিজের চাই, নিজের আরও চাই
থাকছে এই কসরতে ব্যস্ত অবিরত।
সাম্যের গীত হয়ে উঠে বিষাদময়
অনবরত করে যায় হিংসা,
আপন পর হউক না কেহ
পারে না পেতে নিজ হিস্যা।
“”অধিকার বঞ্চিত “”
আলোবিহীন গুমটিঘর,গাড় অন্ধকারে
নিষ্পেষিত অবহেলিত এক একটি প্রাণ,
শুধু ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠে
নিরাশার মাঝে হয় হয়রান।
সমঅধিকারের জ্বালাময় বক্তৃতা শুনে
বাড়িয়ে দেয় দুঃখের যন্ত্রণা,
কুরে কুরে খেয়ে গিয়ে মন
দেয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ বেদনা।
বিশাল অট্টালিকার রাজপ্রাসাদে
চাপা পড়ে অবিরত,
অনাহার অর্ধাহার বুভুক্ষা প্রাণের
থাকে চোখ শুধু ক্রন্দনরত।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যতটা না মূখ্য
তার চেয়েও মূখ্য অবহেলিত,
সমঅধিকারের জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হতে
হারায় ন্যায্য অধিকার প্রতিনিয়ত।