০১- ক্ষণিকের ভালোবাসা
ক্ষণিকের ভালোবাসা
এসেছিল উড়ে,
হুট করে প্রেমিক আমায়
ফেলে দিল দূরে।
মান করে আছে বুঝি
আমার উপর,
কত দিন গত হয়
নেয়না খবর।
সবসময় বলে তার
কাজে ব্যস্ততা,
লাইনেও মেসেজ দিতে
করে অলসতা।
ভালোবাসা দেখিয়ে
কথা নাহি কয়,
মনে প্রেম জাগিয়ে
চুপ করে রয়।
উড়ে এসে জুড়ে বসা
দুইদিনের অথিতি,
সু’ সময়ে কাছে এসে
করে যায় পিড়িতি।
মুক্ত পাখিকে খাঁচায়
বদ্ধ করা যায়না,
দুধ ভাত যত দাও
পোষ তবু মানেনা।
জোর করে একমনে
ভালোবাসা হয়না,
প্রেমিকের এতো প্রেম
পরাণে সয়না।
নিচে আপনার কবিতাটি শুদ্ধ বানানে এবং স্বরবৃত্ত ছন্দে অন্তমিল ঠিক করে দেওয়া হলো:
০২- ভদ্র বাবু
পল্টু নামের একটা ছেলে,
ভদ্র ছিল খুব,
মুখে মুখে তর্ক করে,
নিজেই থাকত চুপ।
পল্টুকে ডাকত সবাই
এলাকার ডন,
সব কাজে চটপটে সে,
উদাস ছিল মন।
চেহারাতে ভদ্রতা,
দুষ্টুমি তার মনে,
চুপিচুপি কথা বলে
প্রেমিকার সনে।
শুট-বুট পরে ঘোরে
দামি বাইক চড়ে,
হাতে পরে বড় ঘড়ি,
চশমা পকেটে পড়ে।
মানি ব্যাগে রাখে সে
সাদা পাতার সিট,
গোপনে তার প্রেমিকার
ফোন নাম্বার লিস্ট।
এলাকার ডন বলে
ভয় পায় তাকে,
দিবানিশি কথা হয়
সব কাজের ফাঁকে।
সুন্দর পল্টুর দুষ্টুমি
কাজ ছিল সবে,
পড়াশোনায় ছিল সে
অন্যদেরই পাশে।
সারাদিন ঘুরে বেড়ায়
মেয়েদের সনে,
চুট করে প্রেম জাগায়
মেয়েদের মনে।
০৩- সূর্যমামা
হারিয়ে গেছে সূর্য মামা
বেশ কয়েক দিন হলো,
ক’দিন থেকে সূর্যমামা
দেয় না কোনো আলো।
ভেবে চিন্তে আমি তখন
গেলাম মামার বাড়ি,
মামির সঙ্গে ঝগড়া করে
মামাই দিছে আড়ি।
মামির রাগটা সবার ওপর
তাই দিয়েছে ঝেড়ে,
চুপটি করে আছে মামা
সবাইকে আড়াল করে।
যেদিন মামার মান ভাঙবে
উঠবে সেদিন হেসে,
চারদিকে আলোকিত
সুন্দর হাসির বেশে।
০৪- ফেসবুক
টেক্স বুক না পড়ে
ফেসবুক পড়ি,
পরীক্ষার সময় তাই
চিন্তায় মরি।
দিন গেল রঙ্গ-রসে
ডিজিটাল যুগে,
বতর্মানে ভুগছি আমি
ফ্রি- ফায়ার রোগে।
পড়াশোনা গেল বুঝি
সবি রসাতলে,
ফেসবুকে সময় কাটে
সবার হেলেদুলে।
ফেসবুক বিশ্বের
নাম করা বই,.
ফেসবুকে প্রেমিক খুঁজে
মনের কথা কই।
ফেসবুকের পাতা কভু
শেষ নাহি হয়,
দিন দিন হাজারো স্মৃতি
ফেসবুকে জমা রয়।
ফেসবুকে সময় দিয়ে
হলাম আমি কবি,
বারবার ভেসে ওঠে
ফেসবুকের ছবি।
ফেসবুকে ফ্রি-তে
প্রেম করা যায়,
গুরুত্বপূর্ণ সময় টুকু
ফেসবুকে খায়।
ভালো বুক ফেসবুক
হৃদয়ের পাতা,
রয়েছে যত সব
প্রেমের স্মৃতি গাথা।