লেখকঃ অথই নূরুল আমিন।
তিনি একজন চারন কবি ও ইতিহাস গবেষক, মুকলেছ উদ্দিন। পিতা মরহুম আব্দুর রউফ। মতা মরহুমা জুবেদা খাতুন। ১৯৫৫ ইংরেজি সনে ১১ এপ্রিল নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলায় কাই কুড়িয়া গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা মরহুম আব্দুর রউফ। পিত্রালয় একই উপজেলায় চানগাও ঠাকুরবাড়ি। দাদা মরহুম নজর আলী শাহ, মহাভারত থাকাকালীন দেওবন্দ্ব পাস মৌলানা ছিলেন। চাচা সৈয়দ আলী সরকার তখনকার সময় কলকাতায় গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করে কলকাতাতেই এক ভার্সিটির প্রভাষক ছিলেন। চারন কবি মুকলেছ উদ্দিন, এলাকার একজন মানবতার কর্মী হিসেবে সুপরিচিত। কবি ১৯৬৯ এসএসসি পরীক্ষার্থী। স্বাধীনতা সংগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কবির সহযোদ্ধা টিম লিডার ও প্রশিক্ষকের সনদপত্র রয়েছে। নিজ এলাকা মদন উপজেলা যেখানে১৭২ ঘন্টা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। সেই ভয়াবহ যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং কিশোরগঞ্জ তাড়াইল যুদ্ধেও তিনি সক্রিয় অংশ করেন। যার সাক্ষী প্রমাণ দলিলাদি হয়েছে। কবি মুকলেছ উদ্দিনের শ্রমে এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সেই বিদ্যালয়ে তিনি কিছুদিন শিক্ষকতা ও করেছেন। তিনি আসলে একজন স্বভাব কবি। এবং একজন সরল ও সাদা মনের অধিকারী।
কবির একক প্রকাশিত বই ছয়টি রয়েছে। তন্মধ্যে একটি মহাকাব্য ১৭০০ শত লাইন একটি কবিতায় ৮০ পৃষ্ঠায় একটি বই। যা পাঠক মহলে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
প্রকাশ থাকে যে ২১/২০২৫ ভাষা দিবস উপলক্ষে পাক নেত্র আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে "কবি ফররুখ আহমদ " স্মৃতি পদক ও সনদে ভূষিত হন তিনি। কবি নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। সমাজের ভালো মন্দ বিষয় নিয়ে। আজকে কবির শেষ বয়সে এসে। দেশবাসীর দোয়া কামনা করেছেন। আমরাও চাই কবি ভালো থাকুক। এমন মহৎ মনের কবি মুকলেছ উদ্দিনের জন্য আমাদের প্রকাশনার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আশা করি কবির জন্য সকল পাঠক মহল দোয়া করবেন।