অপেক্ষা
======
অঝরে ঝরছে দুটি আঁখি জলধারা।
কোমল মনে সুপ্ত প্রাণে কষ্ট দিলো কারা।
কত দেখছি অকালের আশ্বিনীর ঝড়।
ক্ষত বিক্ষত ছিন্ন বিচ্ছিন্ন মোর কুঁড়েঘর।
অপেক্ষার গৃহে দিনু তালা,
অবুজ মনে বড় দুঃখ এ বেলা।
মন সিন্ধুতে কতজল ধরেছো বলো।
প্রেম ও ধরায় বেদনায় ছলছল।
দিনগুলো বহু কষ্টে কেটেছে বছরের পর বছর।
পড়েছি গলায় মালা জীবন অনু:স্বার।
তোমার কথা লিখে রাখি নিত্য এ বেলা,
ঠিক যেনো নুর জাহান প্রমুদবালা।
জানি ফিরে আসবেনা
কখনো অবচেতন প্রাণে হবে না অনুসূচনা।
রুক্ষ মরুভূমির বালিঝড়েও খোঁজে বেড়াই রোজ।
মহাকাশের অতল গহ্বরে ও পাইনি তার খোঁজ।
হঠাৎ যদি আমি হারিয়ে যাই ব্যস্ত শহরে
শুকতারা হয়ে মিশে যাবো ঐ দুরের নীল আকাশে।
” সংঘাত”
বইছে ক্ষণে ক্ষণে রণ তুলিয়া ডঙ্কার হুংকারে।
ভুলিয়া মেতেছে রক্তপাতের সংহারে।
মানুষ আর হবি কবে,
ত্যাগের দীক্ষা পেলে মানুষ হবি তবে।
রাজপথে ঝড়ছে কত রক্তপাত।
দুর্বলের ওপর আর কত আনিবে আঘাত।
ভুলের জালে বন্দি মানুষের নীতি।
অকালেই চোখুস্বারে অপার পরিনতি।
মাজারে আগুন দিলো কারা।
মন্দিরে মন্দিরে গীতা পাঠে মত্য তারা।
মন্দির পাহারা দিতে হাতে নাও লাঠি।
মসজিদে দিয়ে আগুন
মাজারে মারো লাথি।
মাথায় টুপি পড়নে পাঞ্জাবি।
দিন দুপুরে মাজারে কেমনে করো ডাকাতি।
কাফের মুশরিক যারা।
মাজার ভাঙতে আসেনি তারা।
আবার যদি মাজারে হয় হামলা।
এই বাংলায় হবে ২য় কারবালা।
সময় থাকতে হইও হুশিয়ার।
কলিজায় আবার দিলে আগুন পুড়ে হবে সব ছারখার।
আওলিয়ার দরবেশের বাংলাদেশে,
এরা কারা মাজার ভাঙে হায়েনার বেশে।
গোবিন্দের প্রসাদ ভেঙে খানখান।
শুনে শাহজালালের আজান।
তোমার আমার ঠিকানা,
সুফি সাধকের আস্তানা।