লেখিকা: ফাতেমা আক্তার
মানুষের জীবনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ আল্লাহ প্রদত্ত তার হায়াতে জিন্দেগি।
কিন্তু সব থেকে আফসোসের বিষয় আমরা মানুষ বারবার ভুলে যাই,
আমাদের এই জীবনের একটা নির্দিষ্ট পরিসমাপ্তি আছে।
একটা গল্প শুনেইছিলাম,
কোনো এক বাজারে এক বরফ বিক্রেতা খুব করুন কণ্ঠে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছিলো,
ওহে আল্লাহর বান্দারা তোমরা আমার কাছ থেকে একটু দ্রুত বরফ কেনো।
তোমরা যত দেরিতে কিনবে ততই আমার পুজি কমতে থাকবে।
আমাদের হায়াত এর প্রতিটা মুহূর্ত এভাবে আমাদের ডাকতে থাকে।
দিনের শুরুতে বলতে থাকে,
শান্তা আমি আজকের দিনটা তোমার কাছে একবারেই নতুন,
আমি এই মঙ্গলবার হয়ে তোমার জীবনে আজি প্রথম এলাম,
আমি আগে কোনোদিন আসি নি তুমি আমাকে কাজে লাগাও।
তারপর সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা হয় তখন আবার বলতে থাকে শান্তা তুমি এটা কি করলে আমাকে হেলায় ফেলায় কাটিয়ে দিলে!
আফসোস করতে করতে বলে আমি আর কোনোদিন তোমার জীবনে আসবো না।
এই ভাবেই আমাদের দিন গুলি কেটে যায়।আমরা কিছুই বুঝতে পারি না। আমরা সুস্থ থাকি বা অসুস্থ থাকি,
জেগে থাকি বা ঘুমিয়ে, আড্ডা দেই বা কাজে থাকি আমাদের সময়ের সীমাবদ্ধাতা আছে তা ফুরিয়ে যাবেই।
কিন্তু আফসোস আল্লাহর দেয়া এই আমানত আমরা কেমনে নষ্ট করি। কার জন্য করি? কিসের জন্য করি?
একবারও বুঝতে পারি না কখনো বুঝার চেস্টা ও করি না।
এই পৃথিবীর সবটাই ধোকা।
আমি শান্তা যা কিছুর পিছনে ছুটি না কেনো তার কোনো কিছুই আমার না।
বা আমি তাদের কিছুই না।
আমার অস্তিত্ব তাদের কাছে প্রয়োজন মাত্র।
আমার থাকা
না থাকা নিয়ে তাদের কিছুই হবে না।
আর আমি ও তো চাইলে এই পৃথিবীতে থাকতে পারবো না।
এই নিষ্ঠুর পৃথিবী তো আমায় থাকতে দিবে না। একদিন ঠিকই আমার সব কিছু কেরে নিয়ে আমাকে লাথি মেরে কবরে পাঠিয়ে দিবে।
“তাই আসুন ঈমান ঠিক রাখি “