কলমে: মায়া পারভীন
সতত হৃদয়ে মম বাস করেছো,
দিবা নিশি সদা সর্বদায়,
তব হৃদয়ে ঢাকা অমাবশ্যা,
প্লাবিত হলো না জোছনায়।
কেটেছে দিবস রজনী আঁধারে অরণী,
হেন বৃথা নিশি জাগরনী,
চকোরিনী রে করিলে অবজ্ঞা।
হৃদয় মাঝে শূন্যতার খেলা,
বিরহে বিরহে গেল বেলা।
অবহেলা আসিয়া দিল ডাক
এ অবেলায় গোধূলি লগ্নে,
ধ্যান মগ্নে কেটেছে জীবন
তিমির তিথির সঙ্গে।
শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি,
আচমকা অমানিশা নিকষ কালো,
নিশির হানায় নিদ্রা ভঙ্গে।
এই ফাগুনে কোকিলের গানে
গায়নি হৃদয় বেদনে।
শয়নে-স্বপনে এ হৃদ জাগরনে,
তনু-মনে বাজে না সুর তোমা বিহনে।
চৈত্র এসে ডাক দিয়েছে ঝরা পাতার সুরে,
সে সুর মূর্ছনায় মম হৃদয় কাঁদে গোপনে।
স্মৃতির পাতায় উথলিয়া উঠে শত ব্যথা হৃদয় নীড়ে।
চৈত্রের খরতাতে পুড়েছে হৃদয় তপ্ত হওয়ায়
বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠের কালবৈশাখী ঝড়ো বায়,
হৃদয়ের গৃহ বাঁচিয়ে রাখা যে বড় দায়।
ঝরো ঝরো বারিধারা আষাঢ়-শ্রাবণে,
হৃদয়ের বাঁধন বুঝি, ভেসেই যাবে প্লাবনে।
শরতের হিমেল হওয়ার পরশে
কাশের আলতো ছোঁয়ায় রাঙবে না হৃদ হরষে।
হেমন্তে হারিয়ে যেতে চায় এই মন অজান্তে,
ওই দূর অজানায় অনুভবে তোমায়
খুঁজে পাই যখন হৃদয়ের একান্তে।
নিমেষে হারিয়ে যাও ওই দূর দূরান্তে।
চাঁদেরে চাই জোছনায় বারে বারে,
নিষ্ফল অপেক্ষায় থাকি চাঁদের প্রদীপ ধরে।