সাপুড়িয়ার খেলা
কাঁধে ঝুলি নিয়ে এসেছে গ্রামে
বিন বেজে ডাকে বার বার,
ঘিরে ধরেছে অনেক মানুষ
দেখে সাপুড়িয়ার কারবার।
আয় আয় বেরিয়ে আয়
ওরে কালনাগিনী তুই একা,
কত মানুষ এসেছে দেখতে
দে একটুখানি দেখা।
বাক্স থেকে বেরিয়ে আয় আস্তে
কোনো ফোঁস ফাঁস নয়,
শান্ত হয়ে বেরিয়ে আয়
না হলে সকলে পাবে ভয়।
এই শঙ্খিনী,বালুবোড়া,কেউটে
বিনের সুরে খেলা দেখা ওরে বাপ,
ওরে ছোবল মারিস না তুই
রাগের রাজা বিষধর গোখরা সাপ।
এই বাক্সে আছে পঙ্খী রাজ
এরে ধরিয়াছি কাল,
এটা দেখার আগে সবাই
দিয়ে যাও কিছু চাল।
বসত বাড়ির আশে পাশে বাস করে
কতো সাপ নানান জাত,
একটা তাবিজ বেঁধে রাখিস বাড়িতে
থাকবেনা ঘরেতে সাপের উৎপাত।
এই সাপুড়িয়ার সরদারের মন্ত্রে পড়া
নিয়ে যান সকলে একটা তাবিজ,
বাড়ির ধারে পাশে আসবেনা সাপ
তাবিজের মূল্য মাত্র বিশ।
কবিতাঃ বীর
সত্যের বাতি দিয়াছি কারা নিভি
জলা কন্ঠে আগুন তুলিয়াছি দাবি!!
মানিনা আমি মানিনা
নই আমি তোদের পন্থে,
আমি করিবো সংগ্রাম
জীবনের শেষ আলোর অন্তে।
সব মুখোশধারী দুর্নীতি বাজ
চালিয়ে যাও যতই অপচার,
নই আমি অল্পের কিনারা
নই আমি ফুরাবার।
আমি উড়বার আমি দুর্বার
হই আমি উছন্ন,হই আমি তিকন্ন
হই আমি দূলর্ভ, হই আমি সুলব,
নই আমি মিত্যের ক্ষোভ।
হই আমি স্রোত,করি সত্যের ব্রত
হই আমি ন্যায়ের তান্ডব
নই আমি মিত্যার সঙ্গ,
হই আমি কালো জাতির ভঙ্গ,
নই আমি দূর্নিতির সুড়ঙ্গ।
আমি জেগেছি, আমি রেগেছি
নই আমি খ্যান্ত, নই আমি শান্ত,
নই আমি ক্ষুদ্র, নই আমি সল্প
হই আমি প্লাবণ,নই আমি ক্লান্ত
যত দিন রয়েছি জেন্ত।
আমি ক্ষিপ্ত,আমি ভালোর তৃপ্ত
আমি দুরন্ত, আমি ছুটন্ত দিক,
আমি উত্তাল, আমি মাত্তাল
আমি বিপদ তাড়িনির শির,
আমিই সত্যের প্রাচীর।