অথই নূরুল আমিন:
আমি গত দুই যুগ ধরে আমার নিজ জন্মস্থানে তেমন আসা যাওয়া হয় না। গত শুক্রবার হঠাৎ আমার এক শিষ্য নিয়ে রওয়ানা দিলাম নেত্রকোনার উদ্দেশ্যে। অনেক ধরে স্বপ্ন আমার নিজ বাজারে বিভিন্ন বন্ধুদের এবং ছাত্র জীবনের সাথীদের হাতে আমার লেখা বইগুলো একটা করে সৌজন্য তাদের হাতে সরাসরি তুলে দেব।
শনিবার সকালে মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন মাষ্টার আমাদেরকে মাছ বাজারের পাশে অর্থাৎ জ্ঞানদা মিষ্টির দোকানের পাশের দোকানে পরটা, রসমালাই, দই দিয়ে নাস্তা করালেন। তারপর রিকশা যোগে আমরা দুজন অর্থাৎ আমি আর হাবিব দুজন মোহনগঞ্জ সিএনজি ষ্টেশন থেকে বারহাট্টা চলে যাই। নেত্রকোনা থেকে বারহাট্টা পর্যন্ত সিএনজি ভাড়া প্রতিজন পঞ্চাশ টাকা করে। কিন্তু না। আমরা বললাম। আমরা দুজন পিছনে বসব। এবং তিনজনের ভাড়া দেব। সিএনজি ড্রাইভার সম্মতি দিলেন। আমরা বারহাট্টা চলে গেলাম।
তারপর আসমা বাজার থেকে অটো নিয়ে মনাষ বাজার। সেখানে বন্ধুদের হাতে এবং কয়েকজন নেতাদের হাতে আমার লেখা বেশ কিছু বই তুলে দিলাম।
তারপর নৈহাটি বাজার, সাড়ুলিয়া বাজার, আসমা বাজারসহ প্রায় দুই শতাধিক পরিচিতজনের কাছে প্রায় আশি হাজার টাকার বই সৌজন্য উপহার দিয়ে আসলাম। তারপর আমরা আবার নেত্রকোনা সদরে চলে আসি।
উল্লেখিত বইয়ের মাঝে ১. আমার যুদ্ধ কলমে, ২. অগ্নিচিঠি, ৩, ৫২ বছরে তেপ্পান্ন গল্প, ৪, বাণী সুন্দর, ৫, অনূআর ঝুলি, ৬, শ্রেষ্ঠ কবিতা।
কথা থাকে উল্লেখিত বই গুলো আমার বাল্যবন্ধু এবং চাচা, খালু, ফুফা, সহ বিভিন্ন পরিচিতজনের মাঝে সৌজন্য উপহার দেই।
এরই মধ্যে অনেকেই ফোন দিয়ে বইয়ের ভালো মন্দ নিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অনেকেই প্রশংসা করছেন। খুব কাছের সহপাঠী বন্ধুরা শুভকামনা জানিয়েছেন।
আমার লেখা অসংখ্য বই গুলো আমার শিক্ষক এবং আমার ছাত্র জীবনের বন্ধুদের হাতে পৌছে দিতে পেরে নিজেকে খুবই ধন্য মনে করছি। আমি বলব। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। ভবিষ্যতে আমার যত বই প্রকাশিত হবে। সেগুলো যেন সবার মধ্যে আবার দিতে পারি। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
সবার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।
অথই নূরুল আমিন,
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী।