নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন সহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে নারীর ভুমিকা ও অবদান অনস্বীকার্য । নারীরা যুগে যুগে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি জাতীয় অগ্রগতিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
নারীর প্রাপ্য মর্যাদা ও অধিকার দিতে হবে। নারীকে অবহেলা ও অবজ্ঞা করে দেশ ও জাতীয় অগ্রগতি অসম্ভব, মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান এ কথা বলেন।
জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠান ১৯ ডিসেম্বর বিকেল ৫.০০ ঘটিকায় সংগঠন এর নিজস্ব কার্যালয়ে কবি ও কথাসাহিত্যিক নাসরিন ইসলাম শেলী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
মহান বিজয় দিবস উদযাপন ও সাহিত্য আড্ডায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সংস্কৃতিজন মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নজরুল গবেষক শিক্ষাবিদ ও রাষ্ট্রচিন্তক ডক্টর শহীদ মনজু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি শায়লা খান, কবি আজম, রাস্ট্রচিন্তক সংগঠক এস এম আমানুল্লাহ প্রমূখ।
এছাড়াও বহুগুনে গুণান্বিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন উক্ত অনুষ্ঠানে । কবি শায়লা খান বিজয় দিবস কে কেন্দ্র করে তার রচিত কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান টি শুরু হয়।
বিজয় দিবসে লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রাপ্তি আমাদের বাংলাদেশ এবং এই স্বাধীন ভূখণ্ড প্রাপ্তি সহ সর্বক্ষেত্রে নারীদের অবদান এর বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সহিত নজরুলীয় চেতনায় তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, নারীর কর্ম কে ছোট করে দেখার আর অবকাশ নেই আজ! স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীর অবদান, ঘরে-বাইরে সকল ক্ষেত্রে তাদের অবদান অপরিসীম , এমন কি রাজনীতিতেও তারা বহু আগ হতেই এগিয়ে।
জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদের উপদেষ্টা বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও সংস্কৃতিজন মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, সমরে সাহসে সাহিত্য-সংস্কৃতি তে বীরদর্পে নিত্য নতুন উদ্যমে বলীয়ান হয়ে মানব কল্যানে এগিয়ে চলছে নারীরা অগ্রণী ভুমিকা পালন ও নেতৃত্ব অবদান রেখে চলছেন পুরুষের পাশাপাশি।
প্রধান আলোচক প্রফেসর ডক্টর শহীদ মনজু বলেন যে বহু আত্মত্যাগ এর বিনিময়ে আমাদের দেশে নারী-পুরুষ সকলের ত্যাগ-তিতীক্ষা বিসর্জন অবদানে আজকের এই বিজয় অর্জন। আজ জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদ এর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে নিজ কে গর্বিত মনে করছি। কারণ এখানে রয়েছে সাহিত্যাঙ্গনে অবদান রাখা তুখোড় কলম যোদ্ধাবৃন্দদের যোগ্য নারী নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে এই সাহিত্য পরিষদ। নারী নেতৃত্বের এই সাহিত্য পরিষদ কে এগিয়ে নিবার প্রশ্নে আমি তাদের সাথে ই রয়েছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।
তদুপরি বক্তব্য পাশাপাশি কবি শায়লা খান, বিদ্রোহী The Nazrul Centre এর চেয়ারম্যান আতা উল্লাহ খান, বিদ্রোহী The Nazrul Centre এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ডক্টর শহীদ মনজু এবং কবি ও কথাসাহিত্যিক নাসরিন ইসলাম সহ উপস্থিত সকল গুনীজন একাধিক কবিতা পাঠ এর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান টি প্রানবন্ত হয়ে ওঠে এবং কবিতা পাঠ এর মধ্য দিয়ে অদ্যকার আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।