মায়ের হাতে জীবনের ছবি
নকশিকাঁথার সুতো বুনে
আঁকি স্মৃতির রেখা।
মায়ের হাতে জীবনের ছবি
সেলাইয়ে তার দেখা।
নানান রকম ভাবনা গুলো
কাঁথায় গেঁথে রাখি
সুচগুলো মাঝে মাঝে খুব ক্লান্ত
গোধূলি লগ্নে অবসর যাপন আঁখি।
লাল রঙেতে সাহস জাগায়
সবুজে প্রকৃতির দেখা,
হলুদ রঙেতে বসন্ত আসে
ভালোবাসা নিও সখা।
বসন্তের নবপূর্ণিমা গুলো
দোলে কৃষ্ণচূড়ার ডালে,
কোকিলের কুহু কুহু স্বর মধুর যেন
প্রাণের মহিমান্বিত সাজে।
ক্লান্ত বিকেলে
সারাদিন যায়
অবশেষে নিশি জেগে হায়
ক্লান্ত ব্যাকুল হয়ে এক কবি
বসে আছে ঘরের এক কোণায়।
সাজাবে তোমায় কখন কাব্যমালায়?
তুমি সৃষ্টিশীল গুরুপূর্ণিমা -
যার শুধু শুরু আছে, শেষে মহিমা।
দূর ওই গগনের মহা বিশালতা তুমি।
নক্ষত্রের মতো আলো ছড়িয়ে যাও দিকেদিকে।
জোৎস্নারাতে আঁধার সরিয়ে
মুছে দাও শত কালো।
তাই তো তোমায় সাজাবো বলে
অপেক্ষায় দেখি আলো।
প্রহর গুনছি সারাটি দিন
কখন সাজাবো তোমায়
বকুলফুলের সুগন্ধ মাখিয়ে
লিখবো মনের পাতায় পাতায়।
বাতাসে লাশের মিছিল
বাতাসে বয়ে যায় লাশের মিছিল, তিক্ত অনুভূতি,
প্রবল বেগে ছুটছে মানুষ, করুণ পরিণতি।
মায়া, মমতা, কান্না, হাসি, ভিনদেশী যত তারা,
অহেতুক বলে না বিবেচনা, গতির মূলের যারা।
অন্ধকারে চেয়ে দেখি, ছায়ার মাঝে কায়া;
নীরব কোকিল ফিরবে ঘরে, আর্তনাদের মায়া।
অনামী সব ঋষি-মুনি, জ্ঞানের পরম ধন,
তীক্ষ্ণ দৃষ্টি জাগায় নেশায়, আবিষ্কারের ক্রম।
অন্তঃদহন, জীবন, যৌবন, সবই যেন তুচ্ছ লাগে;
মরমি সাধনায়, অমৃত সুধা, আমার তৃষ্ণা জাগে।
অচিন পাখির আহাজারি, ঋষি-বৃক্ষের গণ,
তাদের নিয়েই ব্যস্ত আমি, বিরাট আয়োজন।
বিরলে বসে যোগ সাধনা, সাধিকার গুণ সাজে,
ভোর রাত্রিতে ধ্যানের খেলা, আলোর কাছে বাজে।
বিষাক্ত বিষ ঘুরে ফিরে, মধুর খোঁজে মনে;
আত্মা চায় অনিত্য সুখে, ঘর পালানোর ক্ষণে।
অন্য আদল, বাদলধারা, মানব মনে কী তাড়া?
ছুটছে গাড়ি, গতি ছাড়া—বেঁকে গেলে সবই সারা।