নিঝুম বৃষ্টির ইতিকথা
এই ধূসর আকাশ জানে,
আমি কেনো থাকি পথ চেয়ে!
আসবেনা তুমি জানি তাও
মন কি কথা শোনে !
চড়ুই পাখি ফিরে তার বাসায়
সে তো পথ চিনে ঠিকই
আমি থাকি তোমার আশায়
আরো কত কথা ছিল বাকি।।
তোমায় মনে পরার দোষ,
বলো আমি দেবো কাকে !
মেঘের গর্জন, নাকি নিঝুম বৃষ্টি
নাকি ঐ সুবিশাল আকাশটাকে।।
বর্ষা এলেই মনে পড়ে,
কত পথ হাঁটা বাকি ছিল একসাথে।।
হাঁটতে চাই আরো কিছু পথ,
রাখতে চাই হাত তোমার ঐ হাতে।।
কত মেঘ আসে আর চলে যায়
কত অশ্রু দিলো ওই আসমান
আমি কবি থাকি পথ চেয়ে
তোমার বুঝি অনন্তকালের অভিমান।।
আজও আমি দাঁড়াই সেই পথে,
আজ ও আমি প্রেমিক সাজি
এপারে নাহয় নাইবা পেলাম
ওপারে আমি চাইবো তোমায়,
বলবো সেদিন চলো, আজ বৃষ্টিতে ভিজি।।
তুমি
আমি দেখেছি তোমাকে হে প্রেয়সী,
কোনো এক বরষায়
আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি
তোমার শ্রুতির ঝুমকায়।।
আমি চাঁদ তারাকে সাক্ষী রেখে,
তোমার প্রেমে ডুবতে চাই
আমি তো চাইনি হারাতে,
তোমার খোঁপার ফুলের গন্ধ হারিয়ে যাই।।
তুমি শিখা, তুমি অন্ধকারের প্রদীপ
আমি না চাইতেই পাগল হয়েছি
যেন মুগ্ধ করেছে আমায়,
তোমার অদৃষ্টের কালো ওই টিপ।।
তুমি জাদু করেছো কঠিন মায়ায়
হৃদয় আমার হয়েছে হরণ অজানা মন্ত্রবলে
আমি তোমার হয়েছি, তোমার
আমি রয়েছি গৃহেতে মোর
হৃদয় রয়েছে তোমার কালো শাড়ির আঁচলে।।