(১) আমি যুদ্ধ করব
আমি যুদ্ধ করব
জালিমের সাথে,
আমি যুদ্ধ করব
মজলুমের পক্ষে।
আমি যুদ্ধ করব
ফিলিস্তিনের পক্ষে, গাজার দুঃখ,
অবুঝ শিশুর নোনা জলের শূণ্য দৃষ্টি,
ঐ লোহিত সাগরের পাড়ে
বায়তুল মুকাদ্দাসের শহরে।
আমি যুদ্ধ করব
মানবতার পক্ষে।
আমি যুদ্ধ করব
আমার সাথে,
ষড় রিপুর সাথে।
আমি যুদ্ধ করব
নিজেকে রুপে নয় গুনে-মননে,
প্রকৃত মানুষ করার জন্য,
নিপীড়িতের আধিকার আদায়ের জন্য।
আমার একটা কলম চাই আর
একখণ্ড কাগজ-ই হোক আমার অস্ত্র,
আমি যুদ্ধ করব
অস্ত্রের ঝনঝনানি নয়,
চাই মানবতার জয়।
আমি যুদ্ধ করব
প্রিয়াকে পাবার জন্য নয়,
প্রকৃত প্রেমিক হবার জন্য।
আমি যুদ্ধ করব
সুখের জন্য নয়,
দুঃখকে জয় করার জন্য।
আমি যুদ্ধ করব
তোমার অন্যায়-অন্যায্য নীতির তোষন আর নয়,
আমার অধিকার আমি চাই।
আমি যুদ্ধ করব
স্রষ্টার তুষ্টির জন্য,
যদি হয় তা মরুর বুকে
ক্যাকটাস চাষ, তবুও
আমি যুদ্ধ করব।
(২) অসমাপ্ত কবিতা
শুরুটা হয়েছিল কান্নার শব্দে এক ঝড়ের রাতে,
ঝাপসা কাঁচে বন্দি এক অস্পষ্ট স্বপ্নের বসতে।
অজানা অনুভবের স্রোতে ভেসে যায়, সে কে?
কলম থেমে যায়, কথারা হারিয়ে যায়, বলছে কে?
গোধূলি বেলায় শব্দেরা কেমন যেন পালিয়ে বেড়ায়,
আঁধারটা ঘন কালো, আলো-ছায়ার খেলায়।
কেন যে দূর নক্ষত্র দেখে অক্ষরের বাঁধনে বাঁধতে চাই তাকে,
সে যেন নিরবধি, এক অনির্ধারিত গন্তব্যের বাঁকে।
তবু লিখে যেতে চাই পূর্ণতা দিতে,
ছেঁড়া পালক উড়ে যায় কোন্ পথে?
থমকে আমি হারিয়ে খুঁজি অজানা সুরে,
যা বললে সব জানি, যা বললে না তাও বুঝি, নিজের মত করে।
অসমাপ্ত, নিয়মের বেড়াজালে আটকে এই কবিতা,
ঘিরে আছে জীবনের প্রশ্নগুলোর ছায়া, কেন?
তুমি যদি এসে শেষটা করে দিতে,
তবে কি পূর্ণতা পেত এই কবিতা?