লেখক: ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
মানুষ মরনশীল, মৃত্যু চিরায়ত! সবাই জানে মানে না! তবে জানে না বিশ্বে ৭৭ লক্ষ প্রানীর ভিতর মানুষের এপারে ওপারে শাস্তি হয়! এপারে যা হয় তা বোঝার মত জ্ঞান নাই! ঘর পোড়ে, সন্তানের অকাল মৃত্যু, কঠিন রোগ-শোক, পঙ্গুত্ব বরন, প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম, বজ্র পাতে মরণ, আয় রোজগার বন্ধ, মেয়ের অসুখী দাম্পত্য, ছেলের লাম্পট্যে দেশে ছিঃ ছিঃ, স্ত্রীর পরকিয়া মানুষের মুখে মুখে, স্ট্রোক হয়ে অকালে প্যারালাইসিস, আমার হাতের উপর বড়লোক হওয়া ইঞ্জিনিয়ার টা আমার থেকে কয়েক কোটি আয়, আর অন্য জায়গায় মিলে অঢেল, বয়স আমার আধা, পরিপূর্ণ জীবন, ঢাকার সব চেয়ে মূল্য বান ফ্ল্যাট সৌর্যবান ধনীদের এলায়, বিদেশে দ্বিতীয় হোম, আমার আপন থেকে আপন, আমার সহধর্মিণী রাতে হেটে যেয়ে ২৫ লাখ চাইলে বিনা লেখাজোঁকায় টাকাসহ নিজ গাড়ীতে বাসায় পৌঁছে দিবে, বৃহৎ আত্মা বা কৃতজ্ঞতা, কিন্তু জীবন মৃত্যুর বর্ডার লাইনে, শাস্তির তালিকায় পড়ে গেছে, দ্বিতীয় স্ট্রোক হলে শেষ ------- সবই এপারের শাস্তি -- গোটা তিন মেয়ে ---
তবু প্রকৃতির শাস্তি বোঝে না কেউ, 'সৃষ্টি কর্তার আঘাত' গোনেন না! সেই উপকারীর উপকার অস্বীকার, পরের সম্পদ চুরি, সুদ ঘুষ, জমি দখল, মিথ্যা দলিল, দেনা পরিশোধ বাধ্যতা, কুরআন গীতা বাইবেলের নির্দেশ না মানা ----
প্রিয় পাঠক, বিশ্বে বার-বার জাতিগত নিধন হয়েছে, হোক সেটা প্রকৃতির আঘাত বা সৃষ্টি কর্তার আঘাত! মানুষ ক্ষুদ্র প্রানী ডায়নোসর বা নিল তিমির তুলনায়! সাড়ে নয় কোটি বছর আগের সবচেয়ে বড় প্রানী ডায়নোসর দাড়ালে সমস্ত গাছপালার উপরে তার মাথা থাকতো! সমুলে ধ্বংস হয়েছে একটা উল্কার পতনে! এমনি গ্যালাক্সিতে কয়েক বিলিয়ন গ্রহ নক্ষত্র সাইকেলিক অর্ডারে ঘুরছে, কেউ কাউকে আঘাত করছে না, তাদের মৃত্যু ও নাই কিন্তু মানুষ কখন মরবে তার নিশ্চয়তা নাই! অথচ সে মরার ভয় করে না, সম্পদ জমায়, হোক তা বৈধ বা অবৈধ পথে! কুরআনে /সব ধর্ম গ্রন্হে সম্পদশালী কে হাত বাড়াতে বলা হয়েছে গরীব অভাবী এতিম মিসকিনের দিকে! কে শোনে কার কথা অথচ দাড়ি টুপি পৈতা টিকিতে কমতি নাই, মন্দির মসজিদে গমন অহর্নিশ ---
আমার এক আত্মীয় আমাদের চোখের উপর মরে গেলেন তার চাকরি চলে যাওয়ায় স্ত্রী সন্তান কি খাবে তাই ভেবে, প্রেসার হাই থেকে হাই হলো, স্ট্রোক এবং মৃত্যু! তার সব আত্মীয় স্বজন প্রায় সবাই কোটিপতি। কেউ শুধু একটা মিথ্যা আশ্বাস দিলেও বেঁচে যেতেন! "কি হয়েছে, মানুষ না খেয়ে মরে না " আমরা আছি না, যাও ব্যবসা করো ---- ? নেমে যেতো প্রেসার ১২০/৮০, কেউ এগিয়ে গেলো না, লোকটা মারা গেলেন! আমাকে আজ-ও কষ্ট দেয়, মনে হয় দেশে মুসলমান আছে ইসলাম নাই! আমার আজ-ও কষ্ট বোধ আছে অনেকের তা-ও নাই বরং তার অপরাধ খুঁজে নিজ অপরাধ কে জাস্টিফাই করেন!
আমার চোখের উপর একটা ফুট ফুটে মেয়ে চাঁদের মত চেহারা মরে গেলো, একটা ভুল ট্যাবলেট রিএ্যাকশনে!
বিশ্ব সবাই খারাপ না, ভালো মানুষ ও আছে! মেয়েটার শ্বশুর তার ঢাকা শহরের ২/৩ কাঠার উপর নিজ বাড়ীটা বিক্রি করে সব শেষ চেষ্টা করেছিলেন, আমার জানা মতে এত আত্মীয়স্বজন আমার, এমন কি নিজের থেকে তাকে ভালো মানুষ মনে হয়! তাকে আমি চোখে দেখিনি!
আমার এক নিকট আত্মীয়, প্রচুর টাকার মালিক, আমাকে লেখালেখিতে উৎসাহ দিতে প্রথম বইটার প্রায় ৪০০ কপি প্রবাসী রা নিয়ে নিলো। তিনিও আমার সহধর্মিণী কে তার জন্য ২০০ কপি প্রেসে দিতে বললেন! ছাপা হয়ে এলো, তিনি বই নিলেন না, কারন, আমার একটা স্মৃতি চারণ লেখা আর্টিকেলে একজন জেলা আনসার এ্যাডজুটেন্ট কে সরকারি অফিার বলেছিলাম, সে লোকটা তার প্রতিপক্ষ ছিলো, এই হিংসায় বইগুলো নিলেন না, আমরা মোটেই তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করি নাই, আগের মত আত্মীতা আছে কিন্তু তিনি তার অনেক কিছু খোয়ানোর বোধ জাগ্রত করতে পারেন নাই। ওয়াদা ভঙ্গ, একজনের প্রতি হিংসা, দু'টো ই আল্লাহর কাছে ধারা ৩০২ মানে ফাঁসি বা নরক!
প্রিয় পাঠক, জীবনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনায় মানবতা মনুষ্যত্ব সম্পন্ন মানুষ বা ধর্মীয় ব্যক্তির বড় অভাব তা বুঝাতে চেয়েছি! সবাইকে মৃত্যুর কাছে হার মানতে হয়, হউন তিনি ১০ তলা বিল্ডিং সম নিল তিমি বা সেকালের ডায়নোসর, হোক কোটি পতি বা আমার মত গরীব বেকার! যেতেই হবে দুনিয়া ছেড়ে! আমার বাবা বলেছিলেন, "ঘুষ খেয়োনা, তিন হাতে আয় করবে দু-হাতে ব্যয় করব, কারূনের ধন জমা পাপ!" অনেক শিক্ষিত ছিলেন না কিন্তু তার ডায়লকটা আজ-ও মেনে চলি, আজ-ও মনে হয় আমার বাবা কার্ল মার্ক্সের মত থিউরি দিয়েছিলেন! লাভ ইউ বাবা!
চলুন আমরা ভালো মানুষ হই, মানুষ আগে তারপর মন্দির মসজিদ, মক্কা মদিনা, গয়া কাশি বৃন্দাবন! পশুর জন্য ঐ পবিত্র জায়গা না।