কাল নাগিনী
——————
ইচ্ছে করে নিয়তির কাছে,
মিনতি করে বলতে।
জীবন বিধ্বংসী দাবানলে,
আর কতো হবে জ্বলতে ?
রঙিন বাঁশির বিষাক্ত সুর,
আর কতো হবে শুনতে ?
একটি ভুলের মাশুল আমাকে,
আর কত হবে গুনতে ?
কতো রঞ্জিত তীর বক্ষে ধরেই,
মিথ্যে হাসতে হবে ?
কতো সাগর সাগর অশ্রু নহর,
নিরবে ঢালতে হবে ?
কত চির হবে এ হৃদয় তবে,
ভরবে তুমার মন ?
খড়া ডাঙায় আবেগের ডিঙি,
চালাবো কতক্ষণ ?
ইচ্ছে হলে মুক্তি দিও,
ওগো কাল নাগিনী !
এমন কাব্য লিখতে হবে,
কখনো ভাবিনি।
———
বংশি
———
আমি বংশি,
সুরের তরঙ্গে বয়ে যাওয়া বিধ্বংসী।
বিরহের অনলে দগ্ধ হয়ে,
বক্ষ করেছি ছেঁদ।
কি করে বুঝবে আমার মাঝে,
গোপন সুরের ভেদ ?
যদি বাঁদক হয়ে আলতো ছুঁয়ে,
ফরক করতে দূর।
বুঝতে তবে কন্ঠে আমার,
কতো মধুর সুর।
আকাশ বাতাস শুনতো তাহা,
হতো পাগলপারা।
রাত দুপুরে মিষ্টি সুরে,
উঠতো জেগে পারা।
চাহুনিতেই বুঝতে কথা,
হয়ে যেতে উম্মাদ।
ভাঙতে দেয়াল, ছিঁড়তে শিকল,
ধরতে আমার হাত।