প্রেমের তরুলতা
———————-
বন্ধু যখন বাজাও বাঁশি নদীর তীরে বসে,
প্রজাতি পাপড়ি দুলে ফুলে ফুলে আসে।।
তুমি যদি হওগো তরু আমি হব লতা,
আসব কাছে বাসব ভাল বলব প্রেমের কথা।
ডাকিস রে তুই মায়ার টানে,
ঝর্ণা মিশে স্রোতের বানে!
শুকনো পাতা যায়রে ঝরিয়া,
বন্ধু তোমায় ভালবেসে দিছিরে মন লেখিয়া।
কোন গগনে উড় পাখি,
সন্ধ্যা নামায় আমি রাখি।
তোমার নেশাশ মাতাল হয়ে খুঁজি অনুভবে,
পাইব আমি তোমায় বলো কোন তারিখে কবে।।
জানিনা কেমন প্রনয়,
রেজনের ঘুম হারায়!
জোছনা আলোয় দেখতে বড় চেনা চেনা লাগে,
মনে হয় পরিচয় ছিল অনেক অনেক আগে।
বুকের ভিতর চিনচিন করে
পরশ দিয়ে যাও আমারে,
তুমি হীনা শুণ্য আমি ইশারায় দে আদর করে।
আপন করে চাইরে তোকে,
ভালবাসার রঙ মেখে!
তাইতো ছুটি দিকবেদিকে কোথায় ভ্রমরা নাচে।।
———————–
মলিন মোমবাতি
———————–
কাঁচা বাঁশে ঘুন ধরেছে কোন আকাশে সুরুজ নাই,
ছিড়া খাইলি কইলজা আমার
বধু হইলা অন্যের হায়।।
মোমবাতিটা আলো দিতে তিলে তিলে হয় মলিন,
ভালবাসিস যদি কভু করিস নারে অভিমান।
কষ্টে কাটে প্রহর আমার, তোমার কাটে বাসরে
অবহেলা করে তুমি ফেললা দুখের পাহাড়ে।
ভালবাসার কী তামাসা
একটু কাদা, একটু হাসা,
কেমন করে বলি আমি মনের মাঝে খাঁ খাঁ হায়।।
ভাঙ্গা তরী আর ভাসেনা পবনে হয় এলোমেলো,
বন্ধু তুমি হইছো ঘুড়ি লাঠাই তোমার কে ধরিল।
ভুল করেছে রেজন তুফান মানুষ চিনতে না পেরে,
বেইমান পাখি দিছে ফাঁকি আঘাত করে অন্তরে।
শুননো ফুলে সুভাষ হারা,
করে আমায় দিশেহারা
বলো ভুলে কেমনে রই।।
——————————-
বাবা তোমায় ভালবাসি
——————————-
বাবা তুমি ভালবাসা হৃদয়ের কণা,
আমার কলিজা বিক্রি করেও বাবা তোমার ঋণ শোধিতে পারব না।।
বাবা তুমি একটি বিশাল ছাউনি,
নিজেই তিলে তিলে হয়েছো শেষ
তবু আমায় আগলে রেখেছো বেশ!
বাবা তুমি মায়ার চিরুনি।
বাবা তুমি আমার প্রেরণা,
তোমায় কভু কোথা ভুলতে পারব না।
বাবা তুমি আমার জন্য একটি চাঁদ,
আমার জন্য অনেক খেটেছো জেগেছো কত রাত।।
বাবা তোমার দেহের ঘামে হয় এক সাগর,
খোকা বলে ডেকেছিলে করেছো মোরে আদর।
স্বার্থ বুঝিনা আমি
বুঝি রক্তের মহাটান,
আমার বাবাকে সুস্থ রেখো খোদা করো মেহেরবান।
বাবা তুমি না খেয়ে খাওয়াইছো আমারে,
বাবা তুমি স্বপ্নের কারিগর;
তোমার মত আমায় নিয়ে ভাবতে কে পারে।।