"ঋতুরাণী শরৎ"
------------------------
বর্ষার কালো মেঘ আকাশ থেকে বিদায় নিলেই আমরা বুঝতে পারি যে তোমার রোমান্টিক আগমন শুরু।
ঋতুচক্রের তৃতীয় বেলায় ভাদ্র ও আশ্বিনে, মেঘ ও রৌদ্রের লুকোচুরি খেলতে খেলতে তুমি আসো।
এসময় তোমার রোমান্টিক চরিত্রটা এমন হয়, একটু মেঘ- এক পশলা বৃষ্টি, এক ফালক হাওয়া- পরক্ষণেই সোনালী রোদ্দুর।
গাছের পাতায় রোদের ঝিকিমিকি, আকাশে পেজা তুলোর মতো টুকরো টুকরো মেঘের ভেলা, আবার হয়তো একখন্ড মেঘে ছেয়ে গেল আকাশ!
এমনিভাবেই মেঘ আর রোদের খেলায় মেতে ওঠাই কী তোমার কাজ?
তোমার প্রেমের ছোঁয়ায় বনে শেফালি, শিউলি, হিমঝুরি, পাখিফুল, বকফুল প্রভৃতি ফুল ফোটে,
বিলে ঝিলে ফোটে পদ্ম, শাপলা আর নদীর ধারে ফোটে কাশফুল।
ঋতুরাণী মানেই রমণীদের শাড়িতে কাশফুল, হাতে কাশফুল, চুলের খোপায় কাশফুল, আর বিকালে বালুর মাঠে কাশফুলে যুগল মেলা!
শরৎ মানেই পাকা তালের মজার ঘ্রাণ আর তালপিঠা খাওয়ার মহাধুম। আহ! কি আয়েশ।
মানুষের মনে আনন্দ জাগিয়ে মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ ভুলিয়ে তুমি যে বিদায় নাও। সেটাকে কী বিদায় বলে?
নিশ্চয় না, তোমার বিদায় হয়না হে ঋতুরাণী! তোমার প্রেমের পরশ লেগে থাকে মামব হৃদয়ে।
"শীতের পিঠা"
--------------------
ভাঁপা পিঠায় ভাপ ওঠে লাগে দারুণ মিষ্টি,
ঝাল পিঠায় ঝাঝ লাগে বন্ধ হওয়ার উপক্রম দৃষ্টি।
ছাঁচ পিঠা, ছিটকা পিঠা, চিতই পিঠা খাজা,
দুধ চিতই রসে ভরা খেতে দারুণ মজা।
বিবিখানা, চুটকি পিঠা, চাপড়ি পিঠা আরও,
চাঁদ পাকান, রস পাকান, সুন্দরী পাকান ধরও।
সরভাজা, বিবিয়ানা আর পাতা পিঠার স্বাদ,
পাটিসাপটা, ভাজা পিঠা, পানতোয়া সব বাদ।
মালপোয়া, মেরা আর মালাই পিঠার ঘ্রাণে,
মন ছুটে চলে মুঠি পিঠা, আন্দশা আর কুলশি পিঠার পানে।
কাটা পিঠা, কলা পিঠা, ক্ষীর কুলি পিঠার ভিড়ে,
গোকুল, গোলাপ, লবঙ্গ লতিকা পিঠার মেলা বসেনা এখন মোড়ে মোড়ে।
রসফুল, জামদানি আর হাঁড়ি পিঠা স্বাদে,
ঝালপোয়া ঝুরি, ঝিনুক পিঠা, তৈরি হয় মিষ্টি বাদে।
সূর্যমুখী, নকশি আর তেজপাতা শীতের আকর্ষণীয় পিঠা,
দুধরাজ, পুলি আর সেমাই পিঠাই শীতের সেরা পিঠা।