হেমন্তের রুপ
সোনার বাংলা আছে ঘেরা
প্রকৃতিরই মাঝে,
লাল সবুজের এই দেশেতে
কতো রুপে সাজে।
পাকা ধানের সোনালী মাঠ
চারিদিকে ঘেরা,
হেমন্তকাল জানিয়ে দেয়
কৃষক তুমি সেরা।
শিশির জমা দূর্বাঘাসে
মুক্তা ঝলক ছাড়ে,
হেমন্তটা এল বলেই
চাষিদের সুখ বাড়ে।
গ্রাম বাংলার স্মৃতি গুলো
যখনই চোখে ভাসে,
মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রই
মন আনন্দে হাসে।
নতুন ধানে পিঠা তৈরি
করছে ঘরে ঘরে,
শীতের পিঠা খেয়ে সবার
খুশিতে মন ভরে।
ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া
ধন ও সম্পদ যতই থাকুক
আরো বাড়ি গাড়ি,
মরণের ডাক আসলে পরে
সবই যাবো ছাড়ি।
দুনিয়াতে কিসের জন্য
করো সবাই বড়াই,
টাকা পয়সা জমির জন্য
করছো কতো লড়াই।
পৃথিবীটা যেমন আছে
তেমনই তো রবে,
আমি শুধু থাকবো না আর
হাসি-খুশির ভবে।
ডাকটি আমার আসলে পরে
চড়বো মৃত্যুর রথে,
কেউ হবে না সাথী আমার
অসীম শূন্যের পথে,
মাটির দেহ হবে মাটি
নয়তো ছাই যে পুড়ে,
প্রভু বিনে আপন কেহ
নাই তো জগৎ জুড়ে।
মিছে মায়ায় ভুলে মোরা
খেলছি ভবের ঘরে,
শেষের দিনে প্রভু তুমি.
নিও আপন করে।।
অনাথ শিশু
রাস্তার পাশে ঘুরে বেড়ায়
কতো শিশুর দল,
খালি গায়ে পড়ে আছে
খোঁজ নিবেকে বল।
অনাহারে ঘুরে বেড়ায়
দেখার মানুষ নাই,
ক্ষিদের জ্বালা বড় জ্বালা
বলবে কারে ভাই।
সমাজেরই বিত্তবানরা
নেয় না তাদের খোঁজ,
শিশু দিবস আসলে তারা
করে কতো ভোজ।
অনাথ শিশুর জন্য সবার
ভালোবাসা চাই,
মানবতার পাশে থেকে
দাড়াও সকল ভাই।