অপূর্ণতা
তোমার মত বাড়ির ভেতর বৃক্ষ রাজী উদাও এখন,
শূন্য বুকে বেদনার্তে মাটির পিঠে চিৎকার করে
যেমন করে নিজের ভেতর থমকে থাকা
কান্নার রোলে আওয়াজ ধরে।
তোমার মত উদাও এখন রাস্তার মোড়ে আঁকা বাঁকা, বদলে গেছে তোমার মত
দূর দিগন্ত পরে থাকা।
আকাশ বাতাস বদলে গেছে
বদলে গেছে নদীর ধারা
তোমার মত চাঁদ উঠে না
তারার সাথে চুক্তি করে।
হঠাৎ করে নিরুদ্দেশে যেমনি করে
অতীত প্রাচীর ভেঙে গেছে,
হঠাৎ করে আচমকা হারিয়ে গেছে এক নিমিষে।
আঠারোর ভারে
আঠারো বছর বয়সের ভারে
বাধা বিপত্তি আটকায় নারে,
অসাধ্য তার সাধ্যে কুলায়
স্বচ্ছ মেজাজে সবকিছু ধরে।
জানেনা মন্ত্র বিষের তন্ত্র
মৃত্যুর ভয়ে হয়না পিছপা,
নেই অপমান জানে সম্মান
এগানোর পালা জ্বলছে প্রতিভা।
ডাকেছে আগামী হয় অনুগামী
জয়ের নেশায় উদাস দুপুরে
জানে সংগ্রাম জানে স্বাধীনতা
আঠারো বছরে মন ফুরফুরে।
শিখতেও জানে মিশতেও জানে
হাল ছাড়ে নাকো দৃঢ় উচ্ছাসে,
মেধাবী মনের সবকিছু জানে
স্বপ্নের টানে ডাকে বসবাসে।
উপমায় শুধু তুমি
তোমার মুখের শ্যামল বর্ণের হলুদ
রুপ গলিয়ে যেন আয়নায় পরে,
একটি কোমল হৃদয় ভাঙ্গার শব্দে
বলতে যে চায় কিছু কাতর স্বরে।
তোমার পায়ের সচ্ছ পাতার জলে
জলের হৃদয় চূর্ণ করে নিলি,
লুটিয়ে পরে সাত তরঙ্গের ঢেউ
শিশির পিয়ন চিঠি করায় বিলি।
তোমার হাঁসি অনেকটা মিল আরক
চোখ রাঙানি তাজা ঘাসের সবুজ ,
সেই হাসিতে মাঠ ছড়িয়ে মাঠে
ফুলের পরাগ বিছায় মাঠে অবুঝ।
তোমার মনের ঐ সমুদ্রে সাঁতরে
ইচ্ছে আমার মধ্যে দুপুর বেলা,
ইচ্ছে আমার এপার ওপার ছুঁয়ে
ছুটিয়ে পরে সাঁতার কাটার খেলা।
ইচ্ছের খোরাক
বড় সাধ ছিল তোমাকে দেখার
আমার দুয়ার থেকে
একটি নদীর কাছে
একটি ভোরের কাছে
একটি শিশির ঝরে যাওয়ার পর;
ছুঁয়েছে তোমার স্বচ্ছ পায়ের পাতা।
বড় সাধ ছিল তোমাকে পাবার
বড় সাধ ছিল বুকে আগলাবো
বুকের গহীনে পাহাড়ি ঢালের মত
নদী লতা পাতা আর ঝাউবন
আগলে দিয়েছে সবুজ সুশীল।
কোন কাশবনে হাসি ফুরফুরে
বাতাসের দোল খেয়ে চলে ঢেউ,
কোমর দুলিয়ে নাচে কাশবন
বড় সাধ ছিল ওখানে ঘুরব
তোমার শাড়ির দুপাড় লুটিয়ে
এক হাতে আলিঙ্গন,
সেই পথ ধরে বহুদূর যাব!
তোমার মনকে লুটপাট করে
চেটেপুটে খাব খাদকের মত।
বড় সাধ ছিল তোমাকে ছোঁয়ার-
সেই তুমি
কে এলো এই ভাঙা বেড়ার ফাঁকে;
কে জানে তার কি ছিলো সেই মনে,
চলে যাওয়ার পরে কি আর থাকে
হোঁচট খাচ্ছি স্মৃতির আলিঙ্গনে।
মাঝখানে খুব হা করা এক নদী
দাঁড়িয়ে আছে এপার ওপার ফারাক,
ভাঙলে কেনো বুকের যায়গা জমি
চাইনি আমি এভাবে আর -যাক।
থমকে গিয়ে হঠাৎ করে দেখি
মিছে নদীর ভরাডুবির পাড়ি!
মিথ্যা হলাম স্রোত জলের মেকি
ভেঙেচুরে রাস্তা গেলে ছাড়ি।
হয়তো গেছে আমার মস্ত ভুলে
সরে গেছো কি বুঝে সেই তুমি,
মিথ্যে যে নয় ছলাকলার মূলে
অযোগ্য তার কেবল আমার আমি..