কলমে:রোজিনা খাতুন
তুমি নারী তোমাকেই অন্যায়
মানিয়ে নিতে হয়,
সুুখের ভূবণ তুচ্ছ করে
জীবন করো ক্ষয়।
শিশু কালে পাড়ার দাদু
দেখায় কত আদর,
বোঝনা তাহার নোংরা স্পর্শ
শরীর অবুঝ পাথর।
পুতুল খেলার বয়স হলে
পাড়ার হাজারো পুরুষ,
সামান্য কিছু বুঝতে পারো
কে মানুষ কে অমানুষ।
আত্বীয় স্বজনের মধ্যেও থাকে
কাপুরুষ মুখোশ ধারী,
কিশোরী বয়সেও চোখের ভাষা
বোঝো তুমি নারী।
যৌবনে পা রাখতেই জুটে
প্রাণের প্রিয় প্রেমিক,
স্বার্থ হাসিল হয়ে গেলে
চরিত্রের নেই ঠিক।
ঘরে বাইরে নেই নিরাপদ
আতঙ্কের এক নাম,
হাজারো চেষ্টার পরেও নারী
তোমার নামেই বদনাম।
শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত
অনেক নারী আছে,
সম্মাণের ভয়ে গোপন রেখেই
চুপটি করে বাঁচে।
ঘরের কোনে গুমরে মরে
না বলা কত কথা,
নারীর মনে লুকানো থাকে
ইজ্জত হননের ব্যথা।
চারিদিকে প্রকাশ হয় যেগুলো
জানতে পারে সবাই,
হাজারো মা বোনের আড়ালে কত
ধর্ষিতা গোপনে সয়।
ধর্ষকের চোখে ধর্ষিতা তুমি
বিচার নেই কোনো,
তোমার বিচারের বিচারক তুমি
ছাড় পায়না যেনো।
রুখতে হবে নারী তোমায়
সমাজ বড় অচল,
বিচারের নামে হয়রানি করবে
পোহাতে হবে ধকল।
জীবন বাজি ধরতে হবে
হয় মারবো নয় মরবো,
সমাজ থেকে ধর্ষকের বিচার
নিজের হাতে করবো।