তারই পানে
দেখিলাম যারে,
চিনিলো না মোরে;
দাঁড়িয়েছি নিথর হয়ে।
কথা নাহি বলে,
কি করি আমি?
শুধু আছি তাকিয়ে।
ফাগুনের দিনে,
দুয়ার আমার খোলা;
আসবে কি সাথে?
দখিনা বাতাস,
ওড়েছে চুল গুলো;
বুকের বসন নাই বুকে।
আলুথালু বেশে,
চলেছে ধীরে ;
মনটা যায় উড়ে।
নীল আকাশের নীচে,
নীল শাড়ীটা পরে ;
দেখতে মন চাহে।
যতবার চাহে,
ততবার চাহি;
তারই পানে।
মুখটি তার,
আড়ালে পড়ে যায় ;
কোন্ দূরে যায় কে জানে?
পথের ঠিকানা
সূর্য যায় ডুবিয়ে
সাঁঝ আসে ধীরে,
কে যেন যায় চলে
ঠুং ঠাং চুড়ির শব্দে।
মন আনচান করে
কে গো তুমি পল্লী বালা?
শুনিব তোমার কথা
কেন যাও তুমি একেলা?
সামনে ধূ ধূ প্রান্তর
পথ নাহি পাবে,
ভুলে যাবে তুমি
পথের ঠিকানা।
অন্ধকার এসে
ঘিরবে তোমাকে,
ভয়ে যাবে মরে
থাকবে আমার সনে।
ভোর বেলায় আমি
পৌঁছে দিব,
যেথায় যাবে তুমি
থাক ভয় নাই কোন মতে।
শুনিল না কথা
চলি পথ একা,
সোরগোল শুনি পথে
মেয়েটি নাই সেথা।
দিনমজুর ভাই
ভোরের সূর্য,
ডাক দিয়ে বলে;
উঠে এস বিছানা ছাড়ি।
মাঠের সবুজ ফসল,
ডাক দিয়েছে তোরা আয়;
থাকবে না অভাব অনটন আর।
ক্ষেতের উপর বাতাস,
নেচে যায়;
ভরবে গোলা এবার।
থাকবে না দুঃখকষ্ট,
অভাব যাবে চলে;
তোরা আয় ক্ষেতখামারে।
ফসলের যত্ন নিলে,
ফলবে সোনার ফসল;
তোরা ছুটে আয় ক্ষেতে।
সার,তেল দিয়ে,
ক্ষেতখামারের করব যত্ন;
থাকবে না রোগবালাই।
সোনার ফসলের,
উপর দিয়ে ;
বাতাস নেচে যায়।
দিনমজুর ভাই,
এসো ক্ষেতখামারে যাই;
সোনার ফসল ঘরে আনি ভাই।
তুমি করুণাময়
গানের সুরে,
মলিন বেশে;
দাঁড়িয়েছি তোঁমার ঠাঁই।
করুণা কর,
আমাকে তুমি ;
প্রতিটি কাজের মাঝে।
তোমার আশীষ ছাড়া,
হয়না কিছু ;
এ ধরনীর মাঝে।
তুমি করুণাময়,
তুমি দয়াময় ;
তুমি সৃষ্টি, প্রলয়।
তোমার করুণায়,
বেঁচে রই;
এ ধরামাঝে।
আকাশ-বাতাস,
নদী-নালা;
সকলি তোমার দান।
চন্দ্র-সূর্য,গ্রহতারা,
জলধারা বহে চলে ;
তোমারই করুণায়।
তোমাকে যেন,
ভুলে না যাই;
এ ধরনীর পর।
শান্তি পেতে চাই
তোমার গানের সুরে,
পাগল হয়ে ;
আছি একা বসে।
তোমার চোখের চাওনী,
আমায় পাগল করে তোলে ;
গানের সুরে হারিয়ে গেছি।
জীবন বেলায়,
পাব কি তোমায়?
হবে কি তবে আমার?
চলেছ তুমি একা,
দেখি নিতম্ব বাহার তোমার ;
রাঙা ঠোঁট খানি আরবার।
তোমার কোলে মাথা রেখে,
শান্তি পেতে চাই ;
দেবে কি আমায় তুমি?
তোমার আশায়,
আছি বসি ;
আসবে কি ফিরি?
তোমার পরশে,
পাব শান্তি ;
এ কামনা করি।
তুমি আসবে
পাখীর কলকাকলী
ভ্রমরের গুন্জন,
ফুলবাগিচায় ফুলের বাহার
এ যেন বসন্তের ছোঁয়া।
মাঠে -ঘাটে -বাঁটে
উদাস করা পল্লীগান,
কত না আনন্দ জাগে
আর কোকিলের কুহুতান।
পল্লীবালারা ধরেছে গান
আজি এ সন্ধ্যা বেলা,
আকাশে তারকারাজির
মিটি মিটি জ্বলা।
ঐ দূর গ্রামে
বসেছে গানের আসর,
যেতেছে সবাই চলি
শুনবে গানের কলি।
ব্যথা-বেদনার হৃদয়
কিভাবে জুড়াই?
কিভাবে তাপিত প্রাণে
একটু শান্তি পাই।
বসন্তের ভোরে
দখিনা বাতাসে,
একটু শান্তি পাই
তুমি আসবে বছর ঘুরে।