কলমেঃ সাহেলা সার্মিন
আজ ২১ শে মার্চ," বিশ্ব কবিতা দিবস "। বিশ্বের সকল কবি সাহিত্যিকদেরকে এবং সাহিত্য প্রেমিদেরকে জানাই বিশ্ব কবিতা দিবসের শুভেচ্ছা।
সাহিত্য বিশাল পরিধির একটি বিষয়। আমরা সামগ্রিক ভাবে সাহিত্য বলি বটে কিন্তু বিচারের ক্ষেত্রে গদ্য, পদ্য কিংবা গল্প, উপন্যাস, কবিতা, নাটক ইত্যাদি স্বতন্ত্র ভাবে বিশ্লেষণ করে হৃদয়ঙ্গম করি। কবিতা সাহিত্যের একটি শাখা। যা ছন্দ বদ্ধ ভাষায় পদ্যে রচিত হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, " কবিতা এক ধরনের ভাষা সজ্জা ও শব্দ সজ্জা। অপরিহার্য শব্দের অবশ্যম্ভাবী বাণীভঙ্গী মানব মনের ভাবনা-কল্পনা ও অনুভূতি রঞ্জিত হয়ে ছন্দময় রূপ লাভ করলে তাকে কবিতা বলা হয়।"
কবিতা দুই প্রকারঃ
১। তম্ময় কবিতা, এটি বস্তুপ্রধান এবং মহাকাব্যের ধারা।
২। মৃম্ময় কবিতা, এটি ব্যক্তিপ্রধান বা গীতিকবিতার ধারা।
বক্তার মনের ভাব এখানে পদ্যে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে গীতিকবিতা বা সাধারণ কবিতাই বেশী লক্ষ করা যায়।
মধ্যযুগে সধারণত সাহিত্যগুলো পদ্যেই লেখা হতো। সে সময়ের উল্লেখ যোগ্য কবিরা হলেন,মানিক দত্ত, কানাহরি দত্ত, বিজয়গুপ্ত,বিপ্রদাস, পিপিলাই, কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী প্রমুখ।
পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ, অতুলপ্রসাদ,রামপ্রসাদ,রজনীকান্ত, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, জসীমউদ্দিন, কাজী নজরুল ইসলাম,মাইকেল মধুসূদন দত্ত, শামসুর রাহমান,ফররুখ আহমদ, সুফিয়া কামাল, সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ কবিদের হাতে বাংলা কবিতার বিশাল জগৎ তৈরী হয়। সেই ধারায় এ প্রজন্মের অনেক কবি তাদের কলমের শাণিত ধারায় কাব্য সাহিত্যকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে এসেছেন।
বার্নাড শ বলেছেন, " মানুষ কথায় যা প্রকাশ করতে পারে না, তা প্রকাশ করে গানে, আর গানেও যা প্রকাশ সম্ভব নয়, তা প্রকাশ করে কবিতায়"
আবার ডঃ আল্লামা ইকবাল বলেছেন, " কবিরা সমাজ দেহের চক্ষু, বাগানের মুক্ত পাখি এবং সত্যের দর্পণ।"
কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, " গণমানুষকে জাগিয়ে তোলার জন্য কবিতা অস্ত্রস্বরূপ"
কবিতার এসব অসাধারণ সংগা থেকে কবিতা সম্পর্কে আমরা ভালোভাবেই হৃদয়ঙ্গম করতে পারি। তাই আসুন,আমরা সবাই কবিতাকে ভালোবাসি, কবিতা লিখি।সমাজের এক একটা মেসেজ কবিতায় তুলে ধরি। সাধারণ থেকে সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করে তুলি। কবিতা থেকে পাঠক যাতে কিছু গ্রহণ করতে পারে। তবেই বাড়বে পাঠক সংখ্যা। সার্থক হবে কবিতা লেখা।
সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। ভুলত্রুটি মার্জনীয়। আবারও সবাইকে কবিতা দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা।