আকাশের তারা
===========
আকাশের তারারা জ্যোতির্ময়-
কত শত শত লক্ষ যোজন দূরে,
তবুও কেন যেন কাছে মনে হয়-
মনে হয় দূর নয়, অন্তঃপুরে।।
প্রিয়ার কপোলের কালো তিল-
রাতের জোনাকি পোকার আলো,
সাগরের ঢেউ তোলা ঝিলমিল,
সবটাই প্রেয়সীর মায়ায় ভালো।।
মেঘেরা এতো কালো পেলো কই-
নীল আকাশে, পাখিরা মেলে ডানা,
সবই প্রেমিকার, সবখানে যেন তুই
বাতাসের মৃদু ছন্দ, সুরের’ ব্যঞ্জনা।।
———————-
কেউ নয় কারো
———————-
কেউ নয় কারো-মিছেই ভেবে মরো-
নিজের শরীর, নিজের টাকা, এরাই আপন বড়ো।।
এতো আপন অর্ধাঙ্গিনী সেও যাবে না সাথে,
একা একাই কবর মাঝে-তোমায় হবে যেতে।।
ছেলে মেয়ে আমার আমার ভাবো আছে মিছে,
মরার আগেই খরা নামে-জীবন নাহি বাঁচে।।
ছেলেরা পর বৌমা পেয়ে, মেয়েরা যাবে ছাড়ি,
সম্পত্তি সব লিখে নিবে বৃদ্ধাশ্রম- তোমার বাড়ি।।
ভাই বোন মানুষ করো, বড় আপন করে,
এদের লোভে, সংসার-আগুনেতে পোড়ে।।
বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজন-কে কেমন আপন?
নিয়ে দেখো, দিয়ে দেখো, আপন না দুশমন।।
নেয় না কেহ ধার দেনা, নেবে না পাপের বোঝা,
তোমার কর্মে তোমার আমল, হিসাব হবে সোজা।।
এই মিছে মায়া, মিছে দুনিয়ায় রবে না চিরদিন,
সৃষ্টি কর্তা আপন তোমার আর সব অর্থহীন।।
————————
বসন্তের আগমনে
————————
ঋতুরাজ এলো রাজার বেশে, কৃষ্ণচূড়া সাজে নতুন সাজে,
কোকিল ডাকে মধুর সুরে, ভ্রমরা গুলো আকাশে উড়ে।
ফুল ফুটুক আর না ফুটুক-মনের মাঝে বসন্ত জোটে,
কোকিলের কুহু কুহু তানে, ঢেউ জাগে প্রেমিক মনে।
প্রাণের মাঝে লাগে দোলা, মনের জানালা খোলা মেলা,
ফুল বাগানের মিষ্টি ঘ্রাণ, গাছেরা আবার পেলো প্রাণ।
পাখিরা আজ গাইছে গান, যৌবন জুড়ে নয়া তুফান,
মন হারায় ঐ দিগন্তে, নেচে নেচে উঠে হিয়া “বসন্তে”।।
———————-
সৃষ্টির মাঝে সুখ
———————-
সৃষ্টির মাঝে পাওয়া যায় স্রষ্টা,
রবের গুণ মিটায় মনের তেষ্টা।।
কি সুন্দর চন্দ্র, গ্রহ, সূর্য, নক্ষত্র,
স্বচ্ছ জল, নির্মল বায়ু, সর্বত্র।।
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে তাই মন হাসে,
হঠাৎ নব সৃষ্টিতে স্বপ্নেরা’ ভাসে।।
প্রভুর যে কত মায়া, বান্দার তরে,
তারই দানে সৃষ্টিরা উল্লাস করে।।
আল্লাহর জ্ঞান থেকে ‘কিছুটা দেয়,
তাই পেয়ে মানুষের সব ভালো হয়।।
সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভরে যায় বুক,
স্রষ্টার সৃষ্টিতে ডুবে দেখো-পাবে’ সুখ।।