পলিটিকাল প্রবন্ধ লিখতে লিখতে হাঁপিয়ে গেছি! ২১ ফেব্রুয়ারী প্রধান উপদেষ্টা আর প্রসিডেন্ট নিয়মনীতি ধারা ভঙ্গ, জাতীয় শহীদমিনারে ফুল তছনছ, খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে আগুন, কবি গালিবকে ওএসডি করা হয়েছে, মিউনিখ সন্মেলনে ইউরোপীয় দেশগুলোর অসহায় কান্না, ট্রাম্প পুতিন আলোচনা, তুরস্ক সৌদি আরবের দ্বারে জেলে স্কি র ধর্না দেয়া! এসব আর কত বলবো —-
একজন বাবা তার সারাটা জীবন সংসার ধর্ম পালন করেন নীরবে! যৌবনকাল শেষ করেন দেশ-বিদেশে খেটে নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য সহধর্মিণী সন্তানের, শেষ বয়সে তিনি হয়ে দাড়ান সংসারের বোঝা! বাসার কাজের মেয়ে টাও তার চা-টা তার রুমে পৌছাতে পৌঁছাতে ঠান্ডা হয়ে যায়! কেন এমন অবহেলা নেমে আসে বিশ্বের জ্ঞানী মতামত কি?
সন্তানরা বাবার আয় রোজগার নিজ চোখে কম দেখে, বাবা-র বাইরে বেশী সময় কাটে, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় আনা-নেয়া মায় করেন, স্কুল কলেজ বেতন, টিফিন মার হাত থেকে পায়, প্রতিষ্ঠান মিটিং পর্যন্ত যোগ্য মা হলে তিনিই সামলান, আদর স্নেহ মা সর্বক্ষণ দিয়ে থাকেন, শাসন প্রয়োজন হলে বাবার ভয় দেখান এবং কখনও কখনও প্রয়োজনীয় শাসন বাবা ই করে থাকেন, সাইক্লোজিক্যালি বাবা ব্রুট বা কিছুটা নিষ্ঠুর এমন ইমেজ গড়ে ওঠে, মা স্নেহময়ী হিসাবে পরিচিতি পান!
বাবা-র অনুপস্থিতি দূরত্ব সৃষ্টি করে, ব্যতিক্রমী কিছু মা এ সুযোগে বাবা থেকে সন্তানদের আলাদা করে ফেলেন!ভারতে ৩০০ কিলোমিটার দূরে যেয়ে ট্রেনে চড়ে অফিস করেন অনেক বাবা, সকালে যাওয়ার সময় সন্তান ঘুম, রাতে ফিরে দেখেন সন্তান ঘুম!
বাবা অবসরে এলে ঘরে বিশ্রামে সময় কাটে, সন্তানের কাছে তাকে একটা বেকার কাজকর্মহীন অলস প্রতীয়মান হতে থাকে ক্রমশঃ! এতদিনের অনেক অনিয়ম বাবা নামক জীবটার কাছে ধরা পড়ে, সন্তান যা করছে তার অনেকাংশে নিয়মবহির্ভূত, বাবা শাসন করে ফিরাতে চেষ্টা করলে বাবা ভিলেন হয়ে যান, দূরত্ব বাড়ে, মায়া দয়া পিতার প্রতি আরো কমে যায় —
একজন পিতা আমেরিকান লাইভ ইন্সুইরেন্স এ কাজ করতেন, আত্মীয়তার সুবাদে কিছু ই ইন্সুইরেন্স আমি তাকে এনে দিয়েছিলাম, সে এমন একটা ইন্সুইরেন্স নিজের নামে করেছিলো যা তার মৃত্যুর পর তার পরিবারের আর্থিক সহায়তা দিবে। গতপ্রায় পাঁচবছর আগে তার অকালমৃত্যু হয়েছে। আমাকে জানিয়েছিল সে ইন্সুইরেন্স এর কথা। গতকাল তার ডাক্তার ছেলের বিয়েতে যোগদান করে দেখলাম তার পত্নী “নাসিমা’ একজন গৃহবধূ হয়ে ও দারুন ম্যানেজ করে একটা ছেলে কে ডাক্তার তৈরি করেছে। মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করলাম, আর্থিক সচ্ছলতায় আছে হয়তো মোটামুটি। মনে পড়লো সেই ইন্সুরেন্স সে করেছিলো হয়তো, সাহস হলো না বিস্তারিত আর কিছু জিজ্ঞেস করি! অন্য দুটো ছেলেও মাশাল্লাহ —
একজন বাবা মৃত্যুর পরে-ও স্ত্রী সন্তানের মাথার উপর বটবৃক্ষ, মরার পরে স্ত্রী সন্তানের কি হবে তা ভাবেন! নাম সুনাম অর্থবিত্তের উৎস বাবা তা একসময় সন্তানেরা ভুলে যায়, এইটাই পরম্পরা — সহধর্মিণী সুন্দর মনের হলে তেমনটা কম হয় অন্যথায় মুছে যায় ভিলেন রূপি বাবার স্মৃতি সন্তানের মনের স্মৃতি থেকে, বাবারা এমন-ই এক হতভাগা শ্রেনী সম্পর্কের রক্তের বন্ধন হয়তো আত্মার নন!
অনেক জ্ঞানী গুনির মতামতের সাথে আমার ভাষা, অভিজ্ঞতা, চাক্ষুষ দেখা আশেপাশে বন্ধুদের অবস্থা — প্রয়োগ মাত্র !
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।