মিজানুর রহমান মিজান, বিশ্বনাথ সিলেট:
এখন এ ধরণের গৃহ আর কোথাও দেখা যায় না। আগেকার দিনে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে প্রত্যেক কৃষক পরিবারে থাকতো একটি করে গোয়ালা গৃহ। ভোর থেকে আট নয়টা বা কারো কারো ক্ষেত্রে দশ/বারোটা পর্যন্ত হাল চাষের পর দিনের বাকি বা পরবর্তী সময়টুকু বেঁধে রাখার জন্য ঘাস বা খড় প্রদানসহ গরুকে সযত্নে রাখতে গোয়ালা ছিলো আবশ্যিক। প্রত্যেক পরিবারে সন্ধ্যা বেলা হিড়িক পড়ে যেত গোয়ালা থেকে গরু গৃহে উত্তোলনের।আজ গরু নেই।গোয়ালার ও প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে বাণিজ্যিক হয়ে গেছে গরু পালন।আর এ গরু গৃহেই থাকে রাতদিন। সেখানে থাকে দেয়া হয় নিয়মিত খড়,ভুষি ছাড়াও আধুনিক ঔষধ ইত্যাদি। অধিক পরিমাণে মোটাতাজাকরণ উপকরণ সামগ্রী। গৃহ থেকে বেরই করেন না অনেকে।সার্বক্ষণিক সময় বন্দিশালার মতো গৃহে রাখেন আবদ্ধ। বাহিরে বের করলে গরুকে নজর দেয়া হবে বলে অনেকের ধারণা বদ্ধমুল ।এটা সাধারণত কুসংস্কার।যদি কেহ বের করেন তবে তা স্বল্পক্ষণের জন্য।একটু হাঁটিয়ে আবার নিয়ে যান গৃহে।আগেকার দিনে প্রায় প্রত্যেক পরিবারে নিদেন পক্ষে একটি গাভী পালন করা ছিল অলিখিত চুক্তিমাফিক।পরিবারের সকলে শুধু মাত্র পুষ্টিকর খাবার দুধ উৎপাদনের নিমিত্তে।আজ আর তা হয় না। বর্তমান প্রজন্ম গাভীর দুধ খাবার কথা মোটেই ভাবেন না। মনে করেন দুধ বলতে পাউডার দুধ যা বাজারে খরিদ করা যায়।দু’একজন গাভীর তরল দুধ কিনে খান।তবে আমি বলছি অধিকাংশের কথা।এখন গ্রামাঞ্চলে শুধু দুধ পান করার নিমিত্তে যে গাভী পালন করতেন প্রতি পরিবার তা হারিয়ে গেছে।