জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় বিভ্রান্তি, অসত্য ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এক ভুক্তভোগী।
আজ ৭ মার্চ শুক্রবার বিকেল ৩টায় জগন্নাথপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন- উপজেলার ১ নং কলকলিয়া ইউনিয়নের মজিদপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ মঞ্জিল মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে- লিখিত বক্তব্যে মঞ্জিল মিয়া বলেন, গ্রামের নানাবিধ সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তিনি জড়িত রয়েছেন। অথচ একটি কুচক্রী মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে দিনের পর দিন তার ক্ষতিসাধনের প্রচেষ্টাসহ নানাবিধ চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এমনকি ওই কুচক্রী মহল সাম্প্রতিক নিবন্ধনবিহীন কয়েকটি ভুঁইফোড় অনলাইন ‘যায়যায় কাল’ সহ আরো কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি, অসত্য ও মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত।
তিনি বলেন, এলাকায় এপর্যন্ত কেউ আমার দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন এমন নজির নেই। সংবাদ সম্মেলনে মনগড়া ও মানহানিকর ওই প্রতিবেদন প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন- সাংবাদিকরা হচ্ছেন জাতীয় বিবেক, তারা অভিযোগের ভিত্তিতে যেকারো বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করতেই পারেন।
কিন্তু ঐ প্রতিবেদক আমার সাথে কোনোরূপ যোগাযোগ না-করে, আমার কোনো বক্তব্য না নিয়েই! আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর সংবাদ পরিবেশন করে রীতিমতো হলুদ সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়েছেন। যা দেশীয় আইনে দন্ডনীয় অপরাধ বটে। তিনি বলেন আমি আশ্চর্য হয়েছি! আমার এলাকা জগন্নাথপুর উপজেলার কোনো সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে কোনো সংবাদ পরিবেশন করেননি। কিন্তু দিরাই উপজেলায় বসে কোনো এক হলুদ সাংবাদিক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে জগন্নাথপুরের সংবাদ পরিবেশন করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
প্রকৃত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমার এলাকায় গিয়ে সঠিক তথ্য অনুসন্ধান করলে আমি কেমন মানুষ? তার সত্যতা পাবেন।
তিনি বলেন, আমি আশা করছি ঐ প্রতিবেদক অবিলম্বে এই সকল অপপ্রচার, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ অনলাইন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে মুছে পুনরায় সংশোধনী প্রকাশ করে সত্য সংবাদ পরিবেশন করে সঠিক সাংবাদিকতার পরিচয় দিবেন।
অন্যথায় কুচক্রী ঐ মহলসহ ভুইফোঁড় নিবন্ধন বিহীন অনলাইন পত্রিকা ও তার প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে আমি সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করবো। এব্যাপারে তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার সকল সাংবাদিকদের সহযোগিতাও কামনা করেছেন।