সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
জামালগঞ্জ পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ পিএফজির উদ্যোগে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে দি হাঙ্গার প্রজেক্টে’র এমআইপিএস প্রকল্পের সহযোগিতায় রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকজনের অংশগ্রহণে শান্তি-সর্ম্পরীতির জামালগঞ্জ গড়তে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংলাপে ১১দফা ঘোষণা করা হয়।
জামালগঞ্জ পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর এ্যাম্বাসেডর ও সুনামগঞ্জ পিএডিএন এর প্রধান উপদেষ্টা নুরুল হক আফিন্দির সভাপতিত্বে ও দি হাঙ্গর প্রজেক্টের কুদরত পাশার সঞ্চালনায় সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো: সাব্বির সারোয়ার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামালগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, এসআই সুপ্রাংশু দে দিলু, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রামকুমার সাহা, দারিদ্রবিমোচন কর্মকর্তা শিবেন্দু চন্দ্র, প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা আাম্বিয়া আহমদ, মাওলানা সৈয়দ সাইদ আহমদ, রজন চক্রবর্তী।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা মো: হাবিবুল্লাহ মিছবাহ। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের সিলেট ক্লাস্টারের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর নাজমুল হুদা মিনা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, আন্ত:ধর্মীয় সাব কমিটির আহ্বায়ক, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনিপর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক।
উক্ত সংলাপে উপস্থিত ছিলেন, লোকেশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, সন্তোষ চক্রবর্তী, রানু চক্রবর্তী, মাওলানা আলীম উদ্দিন, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, জামালগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আব্দুল খালিক, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপাতি আলী আক্তাছ মোরাদ, নাজিম উদ্দিন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মারজানা ইসলাম শিবনা, মহিলা পরিষদ এর সভাপতি আয়শা আক্তার, ইউপি সদস্য আলেয়া বেগম,ইয়থ এর জাহাঙ্গীরম তামান্না, মোফাছিরা, ফারিহা, আতিকা প্রমূখ।
সভায় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এবং পিএফজি কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা ও এযাবৎকালে পরিচালিত কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরেন। ধর্মীয়, জাতিগত এবং রাজনৈতিক সংঘাত-সহিংসতা পরিহার করে একটি শন্তি ও সম্প্রীতির জামালগঞ্জ গড়তে সকলের দায়িত্বশীল ভুমিকা কামনা করেন।
ধর্মীয় নেতারা বলেন, নিজ নিজ ধর্মীয় বিধান থেকে সম্প্রীতি’র বাণী সকলের কাছে পৌছে দিতে হবে।
অংশগ্রহণকারীগণ শান্তি সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় করণীয় বিষয়ে নিজদের মতামত তুলে ধরেন। এসময় শান্তি-সম্প্র্রীতির জামালগঞ্জ গড়তে ১১ দফা সম্বলিত ঘোষণাপত্র পাঠ সংহিতি প্রকাশ এবং স্বাক্ষর করেন।