মিজানুর রহমান মিজান, বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে:
সিলেটে বাঁশের বেতের কুঠির শিল্প
এক সময় তথা উনিশ শতকের ষাট থেকে আশির দশকে জনপ্রিয় একটি কুঠির শিল্প ছিলো বাঁশের বেতের তৈরী বিভিন্ন প্রকার দ্রব্যাদি।অনেক পরিবার তখন এ শিল্পের মাধ্যমে তাদের দৈনন্দিন জীবন করতেন পরিচালনা আয়-রোজগারের মাধ্যমে।কোন কোন পরিবারে দেখা যেতো শিশুরা ব্যতীত সকল সদস্য এ জাতীয় কাজে থাকতেন রাতদিন ব্যস্ত।এ সকল দ্রব্যের মধ্যে ছিল উডা,দুচন,ঝাখা,হেওয়ত,ডাম ইত্যাদি নানাবিধ কাজের উপকরণ তৈরীতে ব্যস্ত। আজকের প্রজন্ম বা ভবিষ্যত প্রজন্ম তা চিনেই না হারিয়ে যাবার পরিপ্রেক্ষিতে। আজ তা গল্পের মতই মনে হয়, আজব বা কল্পকাহিনীই বলে ভাবনা। ডামে ধান শুকানো বাডির উঠোনে। সেদিন পরিবারের দায়িত্বে নিয়োজিত মহিলার সে কি ব্যস্ততা।কিছুক্ষণ পর পর ধান নেড়েচেড়ে দেয়া, বার বার পরিক্ষা করা ধান শুকালো কি না, হাঁস-মোরুগ খেয়ে ফেলছে কি না তা তদারকি ইত্যাদি কত কি ঝামেলা আগেকার দিনের মহিলারা সামাল দিতেন। ঐদিন মোরুগ তাড়ানোর জন্য শিশুকিশোরদের কত অনুরোধ করে বসাতেন হাতে বাঁশের ছোট আকারের লম্বা ‘কুটা’নামক লাঠি ধরিয়ে দিতেন,পাহারায় বসাতেন।শিশুসুলভতায় শিশু চলে যেত খেলাধুলায়, মোরগ এসে ধান খেয়ে যাচ্ছে। মহিলার আকুতি, হাকডাক শিশুর প্রতি। পরিবারের কর্তাব্যক্তির শাসন ধান মোরগে খেয়ে ফেলছে।কত চিৎকার, শাসানো ইত্যাদি। আজ এসব কিছুই নেই। হারিয়ে গেছে অজানা, অচেনার পথে।