মধ্যনগর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গুলিবিদ্ধ অপিকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত হামলা করে।
৬ই জানুয়ারি সোমবার নিজ গ্ৰাম দুগনই থেকে ইউএনও মহোদয়ের আমন্ত্রণে অন্তবর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত তারুণ্যের উৎসব বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে আহব্বানকৃত সভায় যোগদান করার জন্য মধ্যনগরের উদ্দেশে রওনা হলে মাছিমপুর ফুটবল খেলার মাঠের সামনে মধ্যনগরে আসার রাস্তায় আনুমানিক ২ ঘটিকার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলাকারীরা হল উপজেলার ৩নং চামরদানী ইউনিয়নের দুগনই গ্ৰামের মৃত আলমগীর হোসেনর ছেলে বিপুল মিয়া(২৫) ও ওয়াসিম মিয়া(৩৫) ,একই গ্ৰামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে শফিক মিয়া(৫৫), মৃত আলমগীর হোসেনর ছেলে ইয়াসিন মিয়া(২৫), আসামী শফিক মিয়ার দুই ছেলে মাজু মিয়া(৩৫) ও তৈফিক মিয়া(৩৮)।
মধ্যনগর থানা অভিযোগ সূত্রে জানা যায় শফিক মিয়ার বাড়ি থেকে ৬ই জানুয়ারি সকালে ৩বোতল ভারতীয় মদ নিয়ে মটর সাইকেল দিয়ে রওনা হলে আমি রাস্তায় আসা মাত্রই দেখতে পাই। উক্ত বিষয়টি আমি থানা পুলিশকে অবহিত করি। মধ্যনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মদ সহ ২জনকে আটক করে। এঘটনার জের ধরেই তারা লাঠিসোটা নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আনুমানিক ২ঘটিকার আমার উপর পরিকল্পিত হামলা চালায়। শফিক মিয়ার হকুমে বিপুল মিয়া প্রথমে আমার গলায় চেপে ধরে বাকি আসামিরা আমাকে কিল ঘুষি মারতে শুরু করে। তাদের আঘাতে আমি মাটিতে লুটিয়ে পরি। আসামিদের আঘাতে আমি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ পেটের বাম সাইডে প্রচন্ড আঘাত পাই।এ সময় আসামিরা আমার জেকেটে থাকা ৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।আমার চিৎকারে শুনে সাক্ষীগন এগিয়ে আসলে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে এরা দৌড়ে ঘটনাস্তল থেকে চলে যায়।পরে সাক্ষীগন আমাকে চিকিৎসার জন্য মধ্যনগর বাজারে নিয়ে আসে।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সজিব রহমান বলেন অপির উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। একজন কে গ্ৰেফাতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।