সুরঞ্জন তালুকদার, মধ্যনগর প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের বাট্টা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সঞ্জয় সরকারের বিরুদ্ধে ৪র্থ শ্রেণীর এক ছাত্রকে অমানবিকভাবে মারধর অভিযোগ উঠেছে।এই ঘটনাটি ঘটেছে গত১৬ই ফেব্রুয়ারি বুধবার স্কুল চলাকালীন সময়ে।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ সূত্রে জানা যায় সহকারী শিক্ষক সঞ্জয় সরকার একজন উগ্ৰ ও উশৃঙ্খল প্রকৃতির লোক। আমার ছেলে অর্নব সরকার বাট্টা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র তার ইংরেজি বিষয়ের ক্লাস টিচার সঞ্জয় সরকার।সে প্রায় সময় বিভিন্ন অজুহাতে আমার বেতের লাঠি দিয়া বেধরক পিটাইয়া শারীরিক সহ মানসিক নির্যাতন করিয়া আসিতেছিল।গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি দুপুর আনুমানিক ১.৩০ঘটিকায় সময় ক্লাস চলাকালীন সময়ে আমার ছেলেকে পড়া ধরলে সে উত্তর দিতে না পারায় সঞ্জয় স্যার বেতের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে বাইরাইয়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদনা দায়ক নিলাফোলা জখম করে এবং হুমকি দিয়া বলে যে উক্ত ঘটনার বিষয়ে আমাদের কে না বলার জন্য।এক পর্যায়ে আমার ছেলে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে আসে এবং উক্ত ঘটনার বিষয়টি আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে বলে।আমি তাৎক্ষনিক আমার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করাই। পরবর্তীতে আমি উক্ত ঘটনার বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবহিত করি। অবহিত করার পর কোন কোন সাড়া না পেয়ে আমি চিকিৎসার কাজ শেষ করিয়া আপনার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিবাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব হইলো।
অভিযুক্ত শিক্ষক সঞ্জয়ের সাথে কথা বললে তিনি বলেন তাহার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি এধরনের কোন কাজ করি আমি ছাত্রদের মানুষ করার দায়িত্ব নিয়েছি বলে ফোন কেটে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ছাত্র অভিভাবক বলেন সঞ্জয় স্যার উনি একজন মাদকসেবী মাদক সেবন করে ক্লাসে এসে ছাত্রদের কে প্রায়ই মারধর করতে শোনা যায়। গতকাল জগদীশের ছেলেটাকে (অর্নব)খুব বেশি আঘাত করেছে।জেকারণে ছেলেটি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই স্যার আমাদের পাশের গ্ৰাম দক্ষিণউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকাকালীন এক ছাত্রকে মারতে মারতে পঙ্গু করে ফেলছে।পরে বিষয়টি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতার ছোট ভাইয়ের প্রভাব খাটিয়ে এলাবাসী নিয়ে মোটা অংকের টাকা জরিমানা দিয়ে নিষ্পত্তি করে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাট্টা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃদুল সরকার বলেন আমি ঐ দিন স্কুল ছিলাম না। বিষয়টি আমি শুনেছি।
এ বিষয়ে মধ্যনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন এই ধরনের ঘটনা অপরাধ। অভিভাবকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত পূর্বক অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল রায় বলেন বিষয়টি গত দু’দিন আগে আমাকে ফোনে জানিয়ে ছিলো। আজকে (১৯ ফেব্রুয়ারি) উনি অফিসে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।আমি অভিযোগটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে মার্ক করেছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।