বিশেষ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার ৩নং চামরদানী ইউনিয়নের আমজোড়া গ্ৰামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী,খুনি, চাঁদাবাজ, আওয়ামী লীগের দালাল ও ৫নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য উজ্জল মিয়ার নেতৃত্বে তার দলবল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জলুষা গ্ৰামের সাধারণ কৃষক তৈয়ব আলী কে হত্যার উদ্দেশ্যে তার নিজ বাড়ির সামনে সোমবার আনুমানিক ২ঘটিকার দিকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার ধর্মপাশা হাসপাতালে ভর্তি করে।তৈয়ব আলী এখন ধর্মপাশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র জনতা বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী ন্যায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
১৮ই ফেব্রুয়ারি রোজ মঙ্গলবার বেলা ১ঘটিকার সময় জনতা বাজার থেকে প্রতিবাদ মিছিলটি শুরু করে জলুষা মাদ্রাসার দিকে এসে প্রতিবাদ সভায় রুপ নেয়। প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন মধ্যনগর উপজেলায় ২৪শের আন্দোলনে একমাত্র শহীদ আয়াতুল্লাহর পিতা হাজী সিরাজুল ইসলাম। উপজেলা হেফাজত ইসলামের কোষাধ্যক্ষ নুরুজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মধ্যনগর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল হক বেনু মিয়া, উপজেলা কৃষকদল নেতা দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ার মিয়া,চামরদানী ইউনিয়নের ৬নংওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শহিদ মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য কালাম মিয়া, আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন উজ্জল মেম্বারের বাবা সমেদ চুরা একজন খুনি।তারা সবসময় আমাদের কে অত্যাচার নির্যাতন করে ।এরা হেমন্তকালে আমাদের ছেলো মেশিন, গোয়ালের গরু নিয়ে যায়। এলাকায় মাদক ব্যবসা, জুয়ার বোর্ড পরিচালনা, বাহির থেকে নারী দেহ ব্যবসা সহ সকল অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে। এমনকি তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি আমাদের স্কুল পড়ুয়া মেয়েরা।এ সন্ত্রাসীরা আমাদের ভাই তৈয়ব আলীকে মারধর করে আমাদের নবীর সুন্নত তৈয়ব আলীর পাকা দাড়ি পর্যন্ত টেনে ছিঁড়ে ফেলে। আমার এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। খুব দ্রুত সন্ত্রাসীদের আওতায় আনার জন্য থানা প্রসাশনের কাছে জোর দাবি জানাই।
অভিযুক্ত উজ্জল মিয়া জানান এ ঘটনা সম্পুর্ন মিথ্যা।আমি এর বিচার আল্লাহর কাছে দিয়েছি আল্লাহ আমাকে রক্ষা করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সজীব রহমান বলেন এ ঘটনায় মধ্যনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুব দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।