মিজানুর রহমান মিজান, বিশ্বনাথ সিলেট থেকে:
একদিন নবি গেলেন সংসার ছাড়ি
কইতে না পারি।।
তিনদিন আগে জ্বর আসিল,দ্বীনের নবি কইতে হইল গো
চল সবে নামাজ ও গোজারি।।
ডাইনেতে সিদ্দিক আলি, বামেতে দাড়াইলা আলি
দুইজনার কান্ধে হাতে ধরি।
মসজিদের ভিতরে যাইয়া, দ্বীনের নবি গেলেন কইয়া
ইমামতি করা আজকে ভারি।।
আবুবক্কর সিদ্দিকেরে, ইমাম দিলেন খাড়া করে
নিজে নবি খুতবা গেলেন পড়ি।
নামাজ নবি শেষ করিয়া, মহলেতে গেলেন চলিয়া
বিবি আয়েশার কাছে রইলেন পড়ি।।
আয়েশাকে কন কাদিঁয়া, দেখ বিবি চেষ্টা নিয়া
মুখের উপর পাকঁছে কয়টা দাড়ি।
আয়শা গণনা নিয়া, দেখিলেন তাই খুজিয়া
মুখের উপর পাঁকছে বিশটা দাড়ি।।
দাড়ি যখন পাঁকল বিশা, হারাইলেন সংসারের দিশা
বুঝা গেল বেশি নয় আর দেরি।
আয়শার কাছে বিদায় চাইয়া, নবিজি গেলেন চলিয়া
ধীরে ধীরে ফাতেমার ও বাড়ি।।
ফাতিমার বাড়িতে যাইয়া, দরজাতে ধাক্কা দিয়া
এসো মাগো জাগ শীঘ্র করি।
ফাতিমা ডাক শুনিয়া, উঠিলেন ও চমকিয়া
কে ডাক দিলায় বুঝিতে না পারি।।
আমার ও দরজা পরে, কে জানি ধাক্কা মারে
এমন সাহস কোনজন গেছেন করি।
দরজা খোলে দেখেন চাইয়া, বাবাজি রইছেন ঘিরিয়া
বেহুশেতে জমিনেতে ঘিরি।।
দুই হস্তে গলায় ধরিয়া, টানদি কোলে তুলিয়া
ও বাবাজান কি হইছে তোমারি।
ফাতিমার কান্দন শুনিয়া, দুই ইমাম আসলেন চলিয়া
কেন মাগো কান্দ বিলাপ করি।।
দেখ আসি বাবাজিরে, নানাজি আর ডাকতায় কারে
বাবা আমার যাবেন দুনিয়া ছাড়ি।
বিলাল আরো চার আচাব্বা, হাসান হোসেন মা ফাতিমা
রইছেন তারা নবিজিকে ঘিরি।।
ইন্নালিল্লাহি বলে, ও ইন্নাইলাহি পড়ে গো
কলেমা নবি নিজে করলেন জারি।
রাত্রি গেল পুশাইয়া, দ্বীনের নবি দেখেন চাইয়া
একজনা আইছেন তিনার বাড়ি।।
কাছেতে গেছেন বসিয়া, কন নবিকে বুঝাইয়া
আজরাইল নাম হয় আমারি।
খোদা আমায় দিছেন কইয়া, যাইতাম নবি তোমায় লইয়া
যাওনা যদি আমি যাইতাম ফিরি।।
যাইতে হলে শীঘ্র চলো, বিলম্বের আর কাজ কি বলো
চল নবি আপন দোস্তের বাড়ি।
ফাতিমা কন কান্দিয়া, রইলায় তোরা কারবায় চাইয়া
হইয়া যায় মোর মদিনা আন্ধারি।।
মুসলমান ও আছ যারা, নবির দুরুদ পড় সারা
রোজ হাসরে যাবে ডংকা মারি।
চান মিয়া হইল ক্ষান্ত, আর বলি না আদি অন্ত
বৃথা জিীবন নষ্ট করলাম ঘুরি।।