রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
তিনশো টাকার পণ্য পনেরশো টাকায় ক্রয় করলেন হ্যালো রায়গঞ্জ সামাজিক সংগঠন বিশ্বম্ভরপুরে কলেজ ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে ও বখাটে জয়কুলের লাথির আঘাতে মায়ের গর্ভের দুই সন্তান নিহতের ঘটনায় মানববন্ধন মোরেলগঞ্জে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে শীতবস্ত্র বিতরণ কবিতাঃ একুশের টানে সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক জলাভূমি দিবস ও হাওর উৎস অনুষ্ঠিত বাজিতপুর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের কমিটি পুনর্গঠন সুষ্ঠু ভোটের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন- বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল সানাউল্লাহ সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে লুটপাট হচ্ছে ধোপাজান নদী বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কেমর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা: দুই ভাইবোন নিহত, আহত ৩ রায়গঞ্জে ইরি-বোরো ধান চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে লুটপাট হচ্ছে ধোপাজান নদী

Coder Boss
  • Update Time : রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৭ Time View

আমির হোসেন,
স্টাফ রিপোর্টার:

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সদরের উপর অবস্থিত ধোপাজান চলতি। ধোপাজান চলতি নদী বেশ কয়েক বছর ধরে ইজারাবিহীন রয়েছে। ইজারা না থাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ধোপাজান নদী থেকে বালি ও পাথর লুটপাট হচ্ছে। শ্রমিকদের নাম ভাঙ্গিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে বালি ও পাথর তোলার কাজ চলে আসছে। তবে সম্প্রতি পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। ধোপাজান নদীর পশ্চিম পাড়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় গেলে দেখা যায় রাতের আঁধারে একটি চক্র পণ্যবাহী ট্রাকের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালি ও পাথর লোড করে নিয়ে যাচ্ছে। এই কার্যক্রমে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন নিরব ভুমিকায় রয়েছে। তা নিয়ে জনমনে বিস্তর প্রশ্ন উঠছে।

অবৈধভাবে বালি-পাথর উত্তোলনকারীরা সাধারণত ধোপাজন নদী থেকে বালি ও পাথর উত্তোলন করে নদীর পাড়ে স্থুপ করে রাখে ও উত্তোলিত বালি পাথর  ট্রাকের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। তারা বেশিরভাগ সময় রাতের অন্ধকারে এই কাজটি করে, যাতে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে যেতে পারে। এ ধরনের চক্রের সঙ্গে স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্তরা জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে।

নদীর ইজারা না থাকায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও বালি পাথর লুটপাট বন্ধ করা যাচ্ছে না। স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, প্রশাসন যদি একবার কঠোর নজরদারি চালিয়ে অভিযান পরিচালনা করে চক্রটি অন্য কৌশল অবলম্বন করে।  দেখাযায় সলুকাবাদ ইউনিয়নের চালবন্দ বাজার পয়েন্টে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশের একটা চেকপোস্ট রয়েছে। বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশের সদস্য ২৪ ঘন্টা ঐ চেকপোস্টে অবস্থান করে বলে জানা যায়। সাধারণ জনগণের একটাই প্রশ্ন ২৪ ঘন্টা পুলিশের ডিউটি থাকতেও কি করে অবৈধ ভাবে উত্তোলিত বালি ও পাথর নিয়ে বড় বড় ড্রিস্ট্রিক ট্রাক কিভাবে চেকপোস্ট অতিক্রম করে।  

অবৈধ বালি-পাথর উত্তোলন শুধু পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়, এটি স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রাকেও বিপন্ন করে তুলেছে। বড় বড় ট্রাক চলাচলের কারনে রাস্তা ঘাটের অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।  এছাড়া এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে, তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে, যা স্থানীয় জনগণের জন্য দুর্দশা সৃষ্টি করবে।

এখনই সময় প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার। নদীর ইজারা, নিয়মিত অভিযান এবং সঠিক আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এই অপরাধ ঠেকানো সম্ভব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102