স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউপির শিলডোয়ার গ্রামের তাজ্জুদ আলী খানের ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা চিনাকান্দি সীমান্ত এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী মোঃ ইয়াকুল ইসলাম কর্তৃক স্থানীয় এক কিশোরকে পিঠিয়ে আহত করার ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করায় নাগরিক টিভির জেলা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকিসহ তার নামে দুটি মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ দোষী ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তারের দাবীতে সাংবাদিকদের মান্ববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জের সর্বস্তরের সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি লতিফুর রহমান রাজুর সভাপতিত্বে ও অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি একে মিলন আহমদের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস,সাংবাদিক ফোরামের সহ সভাপতি ও দৈনিক ঢাকা প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি শামীম আহমদ তালুকদার,একুশে টিভির প্রতিনিধি মোঃ আব্দুস সালাম,দৈনিক গণমুক্তির জেলা প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম শ্যামল,দৈনিক খবরের স্টাফ রিপোর্টার মুশফিকুর রহমান স্বপন, দৈনিক আমার বার্তার প্রতিনিধি গাজী আফজাল হোসেন,দৈনিক স্বাধীন বাংলার প্রতিনিধি মোঃ বাবুল মিয়া,মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি মোঃ আবু হানিফ,দৈনিক আই বার্তার প্রতিনিধি মোশাহিদ আহমদ,তাজুল ইসলাম তারেক,দৈনিক বর্তমানের প্রতিনিধি মাহফুজুর রহমান সজীব,গ্লোবাল টিভির জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান রুমান,সাংবাদিক দ্বীপাল ভট্রাচার্য্য, বিজয় টিভির প্রতিনিধি আলাউর রহমান,এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি এনামূল কবীর মুন্না,নাগরিক টিভির জেলা প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু,জাগরণি টিভির প্রতিনিধি মোঃ আফতাব উদ্দিন,দৈনিক শ্যামল সিলেটের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রতিনিধি শফিউল আলম,দৈনিক সুনামগঞ্জ সময়ের বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ নুর আহমদ,একুশে টিভির ক্যামেরাপার্সন হৃদয় হোসেন প্রমুখ।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউপির শিলডোয়ার গ্রামের তাজ্জুদ আলী খানের ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা চিনাকান্দি সীমান্ত এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী মোঃ ইয়াকুল ইসলামের এক সময় নুন আনতে পানতা পুড়াত। কিন্তু তিনি বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে পদপদবী ব্যবহার করে চিনাকান্দি সীমান্ত এলাকা দিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এলাকার কিছু গরীব ছেলেদের ব্যবহার করে রাতের আধাঁরে অবৈধভাবে সীমান্তের ওপাড়ে ভারতে পাঠিয়ে মরণ নাশক ইয়াকা ট্যাবলটে,বিদেশী মদ এবং মাঝে মাঝে আগ্নেয়াস্ত্র দেশের ভেতরে এনে বিভিন্ন জায়গাতে সাপ্লাই দিয়ে তিনি ইতিমধ্যে অর্ধশত কোটির টাকার মালিক বনেছেন্ । ইয়াকুল ইতিমধ্যে তার গ্রামের বাড়ি শিলডোয়ারে দুইকোটি টাকা দিয়ে একটি বিশাল বহুল বাড়ি নিমার্ণ করেছেন এবং ৫০ লাখ টাকা দিয়ে একটি বিলাশ বহুল গাড়ি খরিদ করেছেন। পাশাপাশি স্থানীয় ক্যাম্পের বাজারে স্বর্ণা ফার্মেসী খুলে এই ফার্মেসী ব্যবসার আড়ালে প্রতিরাতে ঐ সমস্ত যুবকদের কম মুজুরী দিয়ে সীমান্তের ওপাড়ে ভারতে পাঠিয়ে বিভিন্ন ভ্যান্ডের বিদেশী মদ ও ইয়াবার কারবার করেই যাচ্ছেন। তার এই স্বর্ণ ফার্মেসীর কোন বৈধ লাইন্সেস ও নাই। গত ১৭ই সেপ্টেম্বর ইয়াবা ব্যবসায়ী ইয়াকুল ইসলাম চিনাকান্দি গ্রামের দিনমুজুর আলতাব মিয়ার ছেলে ১৪ বছরের কিশোর রুমান মিয়াকে চোরাইপথে ইয়াবা আনার জন্য ভারতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। এতে ঐ কিশোর যেতে পারবে না বলে জানালে ইয়াকুল ঐ কিশোরটি পিঠিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। খবর পেয়ে কিশোরের পিতা দিনমুজুর আলতাফ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ছেলেকে পিঠিয়ে আহত করার ঘটনা জানতে চাইলে ইয়াকুল আলতাব মিয়াকে ও অকথ্য ভাষায় গালাগালির এক পর্যায়ে মারতে উদ্যোগী হন্, পরে স্থানীয় লোকজন এসে দিনমুজুর আলতাব মিয়াকে সরিয়ে নেন। এ ঘটনায় আহত কিশোরের পিতা আলতাব মিয়া নিজে বাদি হয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর হামলাকারী ইয়াবা স¤্রাট ইয়াকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপার ডিবির অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলামকে দায়িত্ব প্রদান করেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ জেলা নাগরিক টিভির প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুসহ আরো বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ইয়াবা ব্যবসায়ী ইয়াকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ প্রিন্ট ও অনলাইন পোার্টলে সংবাদ প্রকাশ করেন। সেই আলোকেই ইয়াবা সম্রাট ইয়াকুল ইসলাম তার অপকর্ম ধামাচাপা দিতে বিশ্বনাথের মৃত সুধীর দেবের ছেলে গাড়ি চালক শিন্টু দেবকে বাদি বানিয়ে ধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন মিয়া ও নাগরিক টিভির প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুসহ ৪ জনকে আসামী বানিয়ে আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিশ্বম্ভরপুর জোনে একটি মামলা দায়ের করেন। অথচ এই বিশ^নাথের বাদিকে আসামীদ্বয় কোনদিন দেখেননি কিংবা চিনেন ও নি। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে গত ৪ মার্চ ইং তারিখে এই বাদি গাড়ি চালক তার গাড়ি নিয়ে রাতে বিশ^ম্ভরপুরের সোনাতলা গ্রামে আসেন এ সময় নাকি আসামীদ্বয় তার গাড়ি আটকিয়ে তাকে মারপিঠ করে আহত করেন এবং তার গাড়ি ভাংচুর করা হয়। অথচ ঘটনার সময় ও তারিখে নাগরিক টিভির সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে গত ২রা মার্চ রওয়ানা দেন এবং ৩ মার্চ ঢাকা বিমানবন্দনে আসেন এবং ৫ মার্চ তিনি তার গ্রামের বাড়ি চিনাকান্দিতে আসেন। এর পরপরই ইয়াবা স¤্রাট মোঃ ইয়াকুল ইসলাম নিজে বাদি হয়ে সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৪জনকে আসামীকে করে গত ৭ অক্টোবর আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিশ^ম্ভরপুর জোনে আরো একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার সিআর মামলা নং-২৭৩/২০২৪ইং। মামলার এজাহাওে উল্লেখ করা হয়েছে আসামী নাগরিক টিভির প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু নাকি বাদি ইয়াকুলের নিকট একলাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছেন। চাদাঁ না দিলে নাকি বাদিকে বিভিন্নভাবে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। ক্যাম্পেরবাজারের ইয়াবা সম্রাট মোঃ ইয়াকুল ইসলাম এতই দাপটের লোক তার কথার অবাধ্য কেহ গেলে তাকে পিঠাতে সময় কালক্ষেপন করেন না। এই ব্যাক্তির নিকট কোন সাংবাদিক বিষয়ই না। ইয়াবা ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে বিভিন্ন সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ পর্যন্ত করেছেন। নেতৃবৃন্দরা দাবী করেন এই ইয়াবা ব্যবসায়ী ইয়াকুল তার অপকর্ম ধামাচাপা দিতে গিয়ে এবং সংবাদকর্মীদের কলমকে রুদ্ধ করে দিতেই তিনি নাগরিক টিভির সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছেন। তিনি মামলায় শিলডোয়ার গ্রামের মৃত আব্দুস ছোবানের ছেলে আসাম(আলম) মিয়াকে যে স্বাক্ষী করেছেন তার মুখোমুখি হলে তিনি মামলার স্বাক্ষীর বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে ভিডিও ফুটেজে প্রমান রয়েছে। ইয়াবা ও ভারতীয় মাদকের চালান দেশের মেধ্য প্রবেশ করায় একদিকে এলাকার যুবসমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিপদগামী হচ্ছেন অন্যদিকে সীমান্ত দিয়ে প্রতিরাতে আসা মাদক ও ইয়াবা নিয়মিত আসায় সীমান্ত অরক্ষিত বলে মনে করছেন উপস্থিত সাংবাদিকরা। অবিলম্বে এই ইয়াবা ব্যবসায়ীর দায়েরকৃত মামলাটি সঠিক তদন্তের দাবী জানান এবং এই ইয়াবা সম্রাট মোঃ ইয়াকুল ইসলামকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য জেলার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান। অন্যতায় ঐ সমস্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রাজপথে থাকার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।