মিজানুর রহমান মিজান।
অনেক কিছু আমরা হারিয়ে ফেলি জীবনযাত্রার পথ চলায় এ পৃথিবীর বুকে। কিছু কিছু জিনিস হারালে আমরা অনেকেই তাকে খুজি না।আবার কিছু কিছু সামগ্রী, দ্রব্য বা কথা অনেকের মনরাজ্যে বিচরণ করে আজীবন। আমরা খুজি যত্রতত্র বা সম্ভাবনাময় স্থানে। অথবা প্রাসঙ্গিকতায় স্মৃতির পাতায় হয়ে উঠে জাগরুক নব রুপে, নবতর আকারে প্রকারে।“যতই ভুলিতে চাই, ভুলে নাতো মন,হিয়ায় হিয়ায় জাগে আশার স্বপন” এর মতই।নীচের এ দ্রব্যটি এক সময় ছিলো অধিক জনপ্রিয় শহুরে জীবনে।গ্রামে এটার প্রচলন খুবই কম ছিলো।কলেজ জীবনে অনেক সময় শহুরে জীবন গ্রহণ করতে হতো।আর সে পরিবেশে যখনই পা রাখতাম। তখনই প্রয়োজন হতো এ সামগ্রীটির।অথবা গ্রামাঞ্চলে কর্মক্ষেত্রে একস্থান থেকে অন্য স্থানে কিছুদিনের জন্য যেতে হলে প্রয়োজন হতো এই কেরোসিনের স্টোভটির।শুধু কর্ম করলেই তো হবে না। দৈনন্দিন জীবনে অনেক পুরুষ প্রয়োজনের তাগিদে রান্নাবান্না করতে হতো। এ সময়ই কেরোসিনের স্টোভের অতীব প্রয়োজনীয়তা মনে করে অত্যন্ত আদুরে কেরোসিনের স্টোভের ব্যবহার করতেন।সামগ্রীটিকে সহজিয়া ভেবে সঙ্গে রাখতেন,ব্যবহার করতেন।কেরোসিন ও সহজ এবং তুলনামুলক কম মুল্যে পেয়ে ব্যবহারে ছিলেন অভ্যস্ত।তাই বলে মেয়েরা যে একেবারে ব্যবহার করতেন না,তা কিন্তু বলছি না।এক সময় সৌদি আরবেও প্রবাসী বাঙ্গালীরা তা ব্যবহার করতেন।কিন্তু বর্তমানে গ্যাসের চুলা বা গ্যাস সহজ লভ্য হওয়ায় এ ঝামেলা কেহই পোহাতে চান না।কিন্তু সেদিন শ্রীহট্র প্রকাশ বই মেলায় দ্রব্যটির বাস্তব চিত্র সংগ্রহে দেখে মনকে আর ধরে রাখতে পারিনি। তাই ছবি নিলাম এবং এ মুহুর্তে তা আপনাদের তথা আমার সম্মানিত পাঠকদের স্মরণের জন্য আমার এ প্রয়াস।জানি না সম্মানিত পাঠক মহলের কেমন লাগবে,লাগতে পারে। কিন্তু আমাকে খুবই অনুপ্রাণিত করায় লিখতে বসলাম। ভুলক্রুটি ক্ষমা প্রার্থী।