লেখকঃ- ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।।
বিশ্বের প্রথম ধর্মের ভিত্তিতে স্বাধীন দেশ হচ্ছে
পাকিস্তান! যিনি দাবী তুলেছিলেন সেই জাতির জনক “মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর” ধর্মীয় বিশ্বাস বা লেবাস অনেকে সমালোচনা করন, আমি তা নিয়ে সরব নই! সেই দেশে প্রকৃত ধর্মে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কিনা তা পর্যালোচনা করা যায় কিন্ত জাতির জনকের উদ্দেশ্য সৎ ছিলো!
প্রিয় পাঠক, বিশ্বে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন দেশ স্বাধীন হয়েছে! কোন দেশ গন বিপ্লবে, কোন দেশ নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ভোটের মাধ্যমে, কোন দেশ যুদ্ধ করে!
বাংলাদেশ এমন একটা দেশ বিশ্বে দারুন সুনামের সাথে নিয়মতান্ত্রিক সংগ্রাম করে, জেল-জুলুম সহ্য করে, কোন নেতা জীবনের ১২/১৪ বছর অন্ধকার প্রকোষ্ঠেে কাটিয়ে সামরিক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনের পর ও দেশের গোঁয়ার শাসকের গোয়ার্তমির বিরুদ্ধে জনগনের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহনে মুক্তিযুদ্ধ করে বিশ্বের শোষিত জনগণের সমর্থন পেয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার নামক মার্কিন অস্ত্রের কোন সাহায্য না পেয়ে বরং মার্কিন ভেটো বর্ম ভেদ করে ছিনিয়ে এনে ছিলেন স্বাধীনতা!
প্রিয় পাঠক, সে স্বাধীনতার নেতা মাও লেনিন কাস্ত্রো নেলসন চেগুয়েভার কারো মত আন্ডারগ্রাউন্ড নেতা ছিলেন না! তিনি জনগণকে মন্ত্রমুগ্ধ করেছিলেন তার রাজনৈতিক মতাদর্শ দিয়ে! ১৯৭১ রেসকোর্স উপস্থিত পাকিস্তান সামরিক শাসক “ইয়াহিয়ার প্রেস সেক্রেটারি ইস্ট” তার লিখিত বই ” Witness to surrender” এ লিখেছেন, “৭ ই মার্চ রেসকোর্স ময়দান থেকে প্রায় লাখ দশ বাঙালি “মুজিবের” ভাষন ও দিক নির্দেশনা শুনে বেরিয়ে গেলো যেন কোন মন্দির মসজিদ গির্জা থেকে ঈমাম পুরোহিত বা পাদ্রীর ধর্ম বানী শুনে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে!
তিনি দশ লক্ষ লোক হাতে পেয়ে ও সেনানিবাস আক্রমণ করেন নাই, কোন বিরোধী দলের লোকের বাড়ীতে আগুন দেন নাই, নিজে প্রত্যক্ষ স্বাধীনতা ঘোষণা করে বিছিন্নতা বাদী দোষে দুষিত হন নাই আবার শতভাগ স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছেন যা পাকিস্তান সেনা কমান্ডার রা বোঝেন নাই যা আমি ক্যান্টনমেন্ট এসে আলোচনায় বুঝলাম। তিনি প্রত্যক্ষ স্বাধীনতা ঘোষনার জন্য বন্দুক পাকিস্তান সরকারের ঘাড়ে রাখার সুযোগ খুঁজতে ছিলেন যা ২৫ মার্চে রাত ১২ টায় অপারেশন সার্চ লাইটের গনহত্যা শুরু করে পাকিস্তান সরকার মুজিব কে স্বাধীনতার ঘোষনার সুযোগ করে দিলেন! ”
মুজিব পালিয়ে যান নাই তার জনগনকে ফেলে, নিজ জীবন বাঁচাতে, বরং রাজনীতির সূতিকাগার ৩২ নাম্বার ধানমন্ডির দোতালায় বসে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে করতে গ্রেফতার হন! এমন ই লিখেছেন যিনি গ্রেফতার করেছিলেন মেজর জেড এ খান তার বই “The way it was ” ! তার বইয়ে এ ও উল্লেখ আছে তিনি যেয়ে মুজিবের স্বাধীনতা ঘোষণার শেষ বাক্য শুনেছেন,” — Your fight must go on untill the last soldier of Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is achieved! ”
“ডঃ ইউনূস স্যার” বিশ্বের নোবেল বিজয়ী সন্মানিত ব্যক্তি, একজন অপরিনামদর্শী দুর্নীতি প্রশ্রয় দানকারী ঢিলেঢালা প্রশাসনিক মানসিকতার শাসক ছাত্র আন্দোলনের মুখে দেশি-বিদেশি রোষানলে পড়ে দেশ থেকে পলায়নের পর ক্ষমতায় আসলেন, আমরা সুখশান্তি নিরাপত্তা দেশের জাতির সন্মান অক্ষুণ্ণ পতাকায় আনন্দে বাঁচতে পারবো ভেবেছিলাম! কিন্ত দৃশ্য পট একটু ভিন্ন মনে হচ্ছে দ্রুত, কেন —-
কি দেখছি আমরা, আজ ই পোশাক কারখানায় হামলা, R A B এর গাড়ীতে আগুন! রোজ রোজ অনিশ্চয়তা, মগের মুল্লুকের অবস্হা, তিনি কি ৫ ই আগষ্ট কে স্বাধীনতা বলেন, Revolution বলেন,কাদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করলেন যারা ৩৬ তারিখ জুলাই মাস বলে, বিদেশি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে পারে না, পেয়াজ কম খেলে পেয়াজ আমদানি লাগবে না, ইতিহাস ভুগোল না জেনে ভারতের চিকেন নেক সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বাগাড়ম্বর করে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের টোকাই বলে, পাকিস্তানের পতাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর উড়ায়, সেই নেতা যার অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ বিশ্ব যুদ্ধের ঝুকি নিয়েছে, নিজ দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ তার নামে পাকিস্তান সেনাকে ঘৃণা করে অস্ত্র ধরেছে, ইজ্জত দিয়েছে মা বোন! ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের রব শাহজাহান ইনু মাখন তোফায়েল রা স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উড়ানো লোক কিন্তু “মুজিব” তাদের মন্ত্রী করেন নাই। তিনি ৭ ই মার্চ রেসকোর্স ভাষনের আগে স্টেজে ওঠার সময় “আসম রব নাকি বলেছিলেন,” স্বাধীনতা ঘষনা করবেন জনগনের চাওয়া”, মুজিব উত্তরে বলেছিলেন,
“I am the LEADER of the Peoples, PEOPLES are not my Leader “! সেই নেতার মাথায় প্রসাব করা যায়! দেশ থাকলে কত জন দেশ শাসন করবেন কিন্তু কোন দেশের জাতির জনকে কোথাও এমন অপমান করা হয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন নীতির সরকার এসেছে অনেক দেশে, জাতির জনক সদা দেশের সর্বোচ্চ সন্মানিত ব্যক্তি — ইরান – কুরুশ, ইন্দোনেশিয়া — সুকর্ন, চীন — ইয়াতসেন, আফগান — আহমেদ শাহ দুরানী, তুরস্ক — আতাতুর্ক, দঃ আফ্রিকা — ম্যান্ডেলা, দঃ কোরিয়া — কিম গু! পাকিস্তানের জিন্নাহ, ভারতের গান্ধী, গান্ধীর ধর্মনিরপেক্ষ ভারত আর জিন্নার সেই পাকিস্তান কি আছে কিন্তু তাদের সরকার জাতির জনকের মাথায় প্রসাব করা ঢিলেঢালা ভাবে দেখেন না!
কোন জাতি কোন দেশ ভিন্ন মত পথ হয়ে ও এমন ঘটনা সে দেশের স্হপতির সাথে ঘটেছে? ইতিহাস হয়তো একদিন এর কৈফিয়ত চাইবে তখন কে উত্তর দেবে তা ভবিতব্য ভালো জানেন?
ছাত্র নেতৃত্ব disposable নেতৃত্ব, কাঁচা বুদ্ধি, আজ ছাত্র আছে কাল পাবলিক হবে, মিশে যাবে জনতার কাতারে, এবং তার ডাকে কেউ আসবে না!
দয়া করে জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন, সংখ্যা লঘূ নির্যাতন বন্ধের নির্দেশ দিন, এক মাসে ১১৬৯ জন শিক্ষক নিগ্রহের শিকার, একদল মাজার ভাঙছে, নবী করীম সঃ থেকে নিজাম উদ্দিন আওলিয়া হযরত শাহজালাল শাহপরান রওজামুবারক বা মাজার ভাঙা যায়? আটরশিতে মাজার ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে!
এ কোন ঢিলেঢালা প্রশাসনিক খেলা, মুজিবের মাথায় প্রসাব, কোন দেশের বার বার প্রধানমন্ত্রী আসনে বসা নারীর অন্তর্বাস প্রদর্শনী, এসব জাতি তথা দেশ কে কোথায় বিশ্ব মানবতার স্তরে নিয়েছে একবার ভাববেন!
আওয়ামী লীগ বিএনপি রুট লেভেলে প্রথিত শিকড় দল এরা মরে না! মিল কলকারখানা বন্ধ হচ্ছে, বিভিন্ন ধর্মঘট ডাকা হচ্ছে, পতাকা পরিবর্তন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন এমনি স্পর্শ কাতর বিষয় নিয়ে আপনার অবুঝ দের বাগাড়ম্বর বন্ধ করান, এখন ও মুক্তিযোদ্ধারা জিবীত, গৃহযুদ্ধের দিকে চলে যাবে দেশ! যার যেখানে স্হান তাকে সেখানে সন্মানে জিবীত থাকুক! বিশেষ করে দখল বানিজ্য ও চাঁদা বানিজ্য বন্ধ করান, এরা আপনার সুনাম নষ্ট করছে! প্রশাসনিক ব্যবস্হায় আস্হা ফিরিয়ে আনুন জনগনের! প্রতিবেশী রাস্ট্রের কাছ থেকে পাওনা হিস্যা আদায় করুন আন্তর্জাতিক ডেকোরাম মেনে, এই ১০/১৫ বিলিয়ন দুটো সাবমেরিন দিয়ে কোন দেশের সাথে যুদ্ধ করা যাবে না , আগামী কালের চাল-ডাল ঘরে আছে কিনা জানতে হবে! আমার কথা বিশ্বাস না হয় ইউক্রেন কে জিজ্ঞেস করুন! দয়া করে কাউকে দখলের সুযোগ করে দিয়ে স্বাধীনতা হারাবেন না! এ দেশটা একদিনে বিশ্ব মানের রেসে জায়গা পায় নাই!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।