মোঃ আহ্সান কবির রিজওয়ান
ছেলেটা বাটুল নিয়ে ছুটছে কোথা! পাখি ধরাকে কেন খেলা মনে করছে, সে কি হৃদয়হীন? বুঝতে পারছে না পাখি আঘাত পাবে। শসানের ওখানে একা একা ছাগল চড়াচ্ছে তার কি ডর নাই? যে বয়সে আমরা বন্ধুদের সাথে একই প্লেটে ভাত খাই, কানামাছি, ফুটবল খেলি।কমেডি নাটক দেখি। মায়ের কাছে বায়না করি খেলনা কেনার জন্য, সে বয়সে ছেলেটি বাজার ঝাড়ু দিচ্ছে! দোকানিদের কাছে পারিশ্রমিক চাচ্ছে। কখনো ভুলের জন্য আবার কখনো দোষ না করলেও কোন দোকানি গালি দিচ্ছে/কটু কথা শুনাচ্ছে। কখনো বা সে মাইর খাচ্ছে। কেউ আদর-স্নেহ করতে চায়না। কেউ তার সাথে খেলেনা, কুশল বিনিময় করেনা। আকাশ দিয়ে বিমান ✈ উড়ে যায়, পাখি উড়া দেখতে পায়। সে ভাবে হয়তো পাখির পিটে চরে উড়ে যাবে বহুদূর। সে পড়ালেখা করতে স্কুলে যায় না, এই শিক্ষাকে ঘৃণা করে। কিন্তু কেন? সবাই যে গ্লাসে পানি পান করে, সেই গ্লাস সে ছুঁতেই পারেনা। কোন এক জায়গায় অবহেলায় পড়ে রয়। কারণ সে মেথরের ছেলে, তার গাটা নাকি নাপাক। সবাই নিন্দা করে। তাদের সাথে থাকলে নাকি সন্মান হারিয়ে যাবে! স্কুলেও কেউ সংকোচ মনে করে। তাদের জন্য কি কোন ভোট রয়েছে? তারা যদি এ দেশে জন্মেও নাগরিকের অধিকার না পায় তাহলে কী জন্মগ্রহণ করাই অভিশাপ! আমরা যদি তাদের কেও মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতাম তবে হয়তো পাখিরাও আর কষ্ট পেত না। তাদের সাথে সময় কাটানোর কেউ নাই বিধায় তারা আঘাত দেওয়াটাকে সঙ্গী হিসেবে মেনে নিয়েছে। তাদেরকে নিন্দা করা ছেড়ে দিন, তারাও শিক্ষার আলোয় আলোকিত করুক ভুবনকে। তারা না থাকলে এই রাস্তাগুলো পরিষ্কার থাকত না, সব জায়গায় আগাছা জন্ম নিত, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক প্রভৃতি ভাইরাসে সবাই আক্রান্ত হত। তখন আর খুলনা, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রামে গিয়ে বন দেখতে হত না। পুরো দেশটা জঙ্গলে পরিণত হত। প্রতিটি বাড়ির টয়লেট ভরে থাকত যা আর পরিষ্কার হত না, কে আছে পরিষ্কার করার জন্য! তখন মানুষের ইজ্জত থাকত না। মানুষ যেখানে সেখানে পায়খানা করত, চারদিকে পড়ে থাকত গু আর গু। আগে মানুষ জমির ধারে পায়খানা করেছে তবে খোলামেলা ইজ্জত দেখিয়ে না। তখন খাবারে এত বিষক্রিয়া থাকত না। আর এখন মানুষ উলঙ্গ জাতিতে পরিণত হয়েছে, ভীনদেশিদেরকে ফলো করে। ধর্মকে ভুলে যাচ্ছে। কিয়ামতের আর বেশিদিন নাই। এখন মানুষ দূর্বল হওয়ার কারণ ফসলের ক্ষেতে কীটনাশক, সার, রসায়নিক ইত্যাদি ব্যবহার/প্রয়োগের জন্য। এখানে যেহেতু মেথর নিয়ে কথা উঠলো তাই তাঁদেরকে বলব আপনারাও সংস্কার হন। তোমার যেমন জীবন রয়েছে তেমন একটি পাখিরও জীবন রয়েছে। শুধু যে মেথরের ছেলেই পাখি ধরে তেমনটা না, আমাদের মত অনেকেই ধরে তাই সবাইকে বলব সচেতন হতে।