রতন ঘোষ, কটিয়াদী প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার বেথইর,লোহাজুড়ি ইউনিয়ন এলাকায় গভীর নলকূপের ৭।৮টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় বোরো ধান, ভুট্টা এবং আলু চাষ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। সেচ পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় ১৫০ একর ফসলি জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। নতুন করে ট্রান্সফরমার স্থাপন এবং সেচ সুবিধা পুনরায় চালু হতে কত দিন লাগবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
বেথইর মহল্লার সেচ পাম্প পরিচালনাকারী নুরুল ইসলাম সংগ্রাম এবং আব্দুল মালেক জানান, এক মাস আগে এক রাতেই তাদের সেচ পাম্পের তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। তারা বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিদ্যুৎ অফিস তাদের নিজ খরচে ট্রান্সফরমার কিনে পুনঃস্থাপনের পরামর্শ দিলেও ২ লাখ টাকা খরচ বহনের সক্ষমতা তাদের নেই।
কটিয়াদী বিদ্যুৎ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, গ্রাহকরা যদি নিজেরা ট্রান্সফরমার কিনতে পারেন, তবে দ্রুত সংযোগ দিয়ে সেচ পাম্প চালু করা হবে। তবে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুতের বিল নিয়মিত পরিশোধ করেও তারা এখন সেচের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্থানীয়দের মতে, গত কয়েক মাসে কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক গভীর নলকূপের ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনো পর্যন্ত চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারের কোনো সন্ধান মেলেনি এবং কোনো চোরচক্র আটক হয়নি। ফলে চুরির ঘটনা বাড়ছে।চোর চক্রের সাথে কটিয়াদী পল্লী বিদ্যুৎতের লোক বা আউট সসিং কমী জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কটিয়াদী জোনের এজিএম শাহরিয়ার হোসেন তন্ময় জানান, ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা সম্পর্কে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব সেচ পাম্পগুলো পুনঃস্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কটিয়াদী থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়েও এই বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
বোরো মৌসুমে সেচ সংকট কাটিয়ে কৃষকদের স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।