বনানী (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
সরকারি তিতুমীর কলেজ প্রশাসন মূল ফটকের সামনে বসা শিক্ষার্থীদের স্টল বন্ধ করতে নির্দেশনা প্রদান করে চুড়ান্ত নোটিশ জারি করার পরও এখনো সরেনি স্টল। সরেজমিনে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১২ ঘটিকার সময় কলেজের মূল ফটকের সামনে গেলে আগের মতই স্টল বসতে দেখা যায়।
দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রশাসনের স্টল সরানোর নির্দেশনার চুড়ান্ত নোটিশ আমলে নেয়নি। উল্টো এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফয়সাল মাহমুদ নামক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই নোটিশ কলেজ কতৃপক্ষের লেখা? আমার যথেষ্ট সন্দেহ হচ্ছে।’
গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) সরকারি তিতুমীর কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর শিপ্রা রানী মন্ডল ও ক্যান্টিন কমিটির আহ্বায়ক এর স্বাক্ষরিত এক চুড়ান্ত নোটিশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চুড়ান্ত এ নোটিশে লেখা হয়, “এতদ্বারা কলেজের মূল ফটকে খাবার স্টল পরিচালনাকারী শিক্ষার্থীদের অবহিত করা যাচ্ছে যে, কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ মহোদয় কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম উন্নয়নে এবং কলেজের সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ বাস্তবায়নে নির্লস কাজ করে যাচ্ছেন। কলেজের মূল ফটকে দোকান বসানোর কারণে কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
কলেজের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা কমিটি তোমাদের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পরেও তোমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। কলেজের ক্যান্টিন কমিটি তোমাদের কার্যক্রমের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে নোটিশ করেছিল। যেহেতু কলেজ প্রশাসনের আপত্তির পরেও তোমারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছো যা শৃঙ্খলা-পরিপন্থী।
কলেজের মূল ফটকে তোমাদের স্টল বন্ধে চুড়ান্ত নির্দেশনা দেওয়া হলো।”
কেউ কেউ কলেজ প্রশাসনের এই নির্দেশনার পক্ষে কথা বলেছেন। আবার কেউ এর বিরোধিতা করে তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ প্রকাশ করেছেন।
মহাখালীর বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘কলেজ এর সামনে দিয়ে হাঁটতে গেলে নাকে হাত চাপা দেওয়া লাগে, ২ পারেই মনে হয় ওপেন ল্যাট্রিন, একটা কলেজ এর সামনে এমন পরিবেশ মানা যায়না।’
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সাদিকুল ইসলাম সাদিক বলেন, ‘কিসের শৃঙ্খলা কমিটি ক্যাম্পাসে কি কোন শৃঙ্খলা আছে নাকি।’
জনৈক শিক্ষার্থী মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘কলেজ ক্যান্টিন কমিটি এখানে আপত্তি জানানোর কে? যার যার বিজনেস সে করবে। ক্যান্টিনে কি লাল বাতি জ্বলা শুরু করছে যে অন্য পোলাপাইনের দোকান সরানোর জন্য নোটিশ দেয়?’
শিক্ষার্থী শাহীন ভূঁইয়া বলেন, ‘তো ফুচকা ওয়ালা মামারা কী আপনাদের ভাড়া দেয় যে ওদের সরাতে এমন নোটিশ নেই?’
শিক্ষার্থী এইচ ইউ নাঈম বলেন, ‘আমি নোটিশে কোননদিন তুমি তুমি শব্দ ব্যবহার করতে দেখিনি। আজ দেখলাম।’