মোঃ আহ্সান কবির রিজওয়ান
শীতের হাওয়া কনকনে
বৃদ্ধটি ঝঁকছে ঠান্ডা কাঁপনে,
কার হবে রক্ত সঞ্চালন!
টইষ্সা থেকে রেহাই পেতে
যাই হাত-পা ছ্যাকতে
একটু খড়-খড়িতে দিয়ে আগুন।
জ্বর হয়েছে বাচ্ছাটিরো,
জল-সর্দি নাক বয়ে পড়ছে কারো।
কেউ লাগাইছে খেজুর গাছে ঠিলা,
মা করেছে বরই ঝালা।
কভূ খোদার রহমে সূর্যি মামা উঠে,
মিষ্টি রৌদ্র বলে যাই ভিটামিন-সি নিতে।
গোয়াল পিছলে গরুর পায়ে হইছে জখম,
খালা আইছে ঢেকিতে ছাতু করতে গম।
ঘাঘটে পাথরের বাচ্চা করছে হাটাহাটি,
তীরে ঢোঁড়া সাপ মেরে আছে ঘাপটি।
রাছেলদের দিঘিতে জেলে জাল খেওয়ায়,
দূরের কিছু ঝাঁপসা শিশির-কুয়াশায়।
ট্যাক থেকে ঘুঘু ডাকে,
খুফরি থেকে মোরগ বাঁকে!
কেউ করে ঠাট্টা
রংপুরে তেরোটি কুকুর মরছে,
মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে কয়
এ আজিজ বিড়ি টাইনছে।
ক্ষের কুঁড়ে ঘরে সাইফুলরা কোকরা লেগে কখন মরে মরে,
ইউপি অবৈধ প্রতিনিধি সেবা দিল কই!
আমরা কী তাঁগো পাঁকা ধানে দিয়েছি মই।
কেউ গাড়ে আলু
কারো ভূইয়ে শিম-পাট,
কৃষি দ্বারা আমরা বাঁচি
খেয়ে তরকারি আর ভাত।
পিঠাপুলির দিনে রোকেয়া মেলা আসে,
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পালন বিজয় দিবসে।
শব-ই মেরাজ প্রার্থনার করার সময়,
করি ফুল দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
খালি পায়ে শহিদ মিনারে হেটে যাই।
সুপারি গাছে সবুজ-হলুদ গোলগাল,
পিয়ারা গাছে ধরছে ফুল।
ভোরবেলা ছেলেমেয়েরা যাবে মক্তবে,
দুখুর মত সুর তুলে-
আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে।
মোঃ আহ্সান কবির রিজওয়ান
দশম (বিজ্ঞান) শ্রেণির ছাত্র
শালমারা দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়, মিঠাপুকুর, রংপুর।