কলমেঃ পম্পা ভট্টাচার্য
দীঘির জলে যুগল ছায়া
ছাতিম তলে যুগল কায়া।
ওই দূর হতে যেন শুনি
রবি ঠাকুরের গানখানি,
“আমারও পরান যাহা চায়
তুমি তাই তুমি তাই গো “।
তোমার দুহাতে আমার চিবুক
অপলক আঁখি প্রাণ ধুক ধুক ।
আমি তখন লাজুক খানিক বেশ
তোমার মুখ জুড়ে আমার এলোকেশ।
মুখোমুখি যেন কোনো এক সন্ধি
বিচ্ছেদ নাকি আগলে রাখার ফন্দি।
বেলা অবেলার কত গল্পকথা
কখনও আবেগ কখনও ব্যথা।
মন দেওয়া নেওয়া স্মৃতি ভরে ঝুলি,
উষ্ণ ঠোঁটে সময়ের কথা বলি ,এবার চলি!
ফুরালো দিন আকাশের গায়ে কালো
শেষের দিনেও প্রিয় এমনি থেকো ভালো।
বিরহ যদি নামে ,চলে যায় দূরে
সেদিনও ডেকে নিও সেই চেনা সুরে ।
কাছে আয় বুকে নিই তোর মুখখানি
ভালোবাসা মিছে নয় আমিও জানি।
তবু কেন ভয় হয় না পাওয়া আবেগ
এই তো তুমি ছিলে নাকি শুধু ভাবাবেগ।
স্বপ্ন কি আসে কখনও বাস্তবের দোর
ঘুম ভাঙ্গে চেয়ে দেখি কল্পনা ঘোর।
আকাশের গায়ে তখন রামধনু নেই
বাতাসের সুর বলে যাও চলে এই অসময়েই।
কে কোথা কবে কার জীর্ণ ধরা
মায়া ভ্রম মিছে সব, শুধু মন কাড়া।
দীঘির জলে তখন সূর্য এলো ডুবে
ছাতিম তলে আলো যায় নিভে।
ছায়া নেই, কায়া নেই !কি?
কি ছিল তবে?
নিছক মায়া! নিছক মায়া!
নিত্য বাঁধে ভবে।