“অপেক্ষা”
========
অপরাহ্নে মিষ্টি রোদের স্লানিতে
শান্ত নদের চিরায়ত বহমানতায়,
নদীর পাড়ে সবুজ ঘাসের উপর;
বসে এক উদাসমনে..
তারে খুঁজি মনের শূন্য বাখানে!
পাখ-পাখালির কলকলানিতে,
দক্ষিণা হাওয়ায় সিগ্ধ হাসি মেলে সবুজ পাতাদ্বয়ে;
নদীর ধারে ডিঙিনৌকা ভিড়ায়
মাঝি ভাই থাকে অপেক্ষার প্রহরে,,
কখন যে তার প্রিয়জন উঠবে তরণীতে!
সুরভিত সেই পরিবেশে,
আকাশ মেতে উঠে গুড়গুড় খেলায়।
নামবে এবার বাদলা,,
তবু ও হবে না তার অপেক্ষার অবসান।
যেন এবার আসবে সেই,,
প্রকৃতির বদন্যতায় রূপসী কন্যা রূপে..
চিকচিকে বাহারে ঘুঁচবে অপেক্ষার অবসান।।
“প্রতিহিংসার রাজনীতি”
———————————
বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠটা
নহে মুক্তচর্চার কেন্দ্র,
আছে শুধু প্রতিহিংসা,দলাদলি
প্রতিপক্ষের হয়রানিতে সকলে ব্যস্ত।
রাজনীতির মূল লক্ষ্যটা কি_
জানা নেই অনেক নেতা-কর্মীর কাছে।
বেশিরভাগই ভেবে বসে
ক্ষমতাসীন দলটা মাঠের রাজা,
ক্ষমতাহীন দলটা বলের স্বরূপ।
জনগণের সেবা ব্যতিত,
হয়না কোনো রাজনীতির চর্চা।
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে মেতে উঠে যারা,
তাদের নেই কোনো রাজনীতি করার যোগ্যতা।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে_
কর্মী নিয়ে খেলার আসর
জমায় রাজনৈতিক গুরুরা,
অধিকারের নামে মাঠে নামায়
খেলে নেতা নামের সুশীলরা।
সামনে থাকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ব্যানার
পেছনে থাকে সুবিধাভোগী চাটুকার সমাজ।
কর্মী নামের শক্তিটা ব্যবহার করে
প্রাণনাসের হুমকিতে ফেলে,সংঘাতে জড়িয়ে দিয়ে
সুকৌশলে ক্ষমতা লাভে ন্যস্ত।
গুম,খুন,হয়রানি নয় রাজনীতির বিশেষত্ব
দেশ তথা জনযাত্রার মান-উন্নয়ন,
এইতো রাজনীতির মূখ্য বিষয়।
পরিবর্তন চাই!
দলান্ধতা আর প্রতিহিংসায়
ফুঁসব কেন মোরা,,
সাম্যে হোক চর্চা,মুক্তমঞ্চে হোক বিচরণ।
অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখব সবাই।
প্রতিহিংসায় নয়,দেশ সেবায় গড়ব মোরা।।
“মায়ের পরশ”
——————–
স্নেহমাখা মায়ের পরশে
দুঃখ ঘুচাঁয় মনের,
মিষ্টিসুরের ঔই কণ্ঠে
দুঃখ ভোলায় প্রাণের।
ছোট্টবেলার খেলার সাথী
যৌবনকালের প্রতিষ্ঠার সারথী
বৃদ্ধবেলার পরামর্শদাতা
তিনি আমাদের জনমদুঃখী মা।
আপনজনের মাঝে আপন যিনি
নিঃস্বার্থ পানে পাশে থাকেন,
সন্তানের কল্যাণে আমৃত্যু পযর্ন্ত
জীবনটা তিনি অতিবাহিত করেন।
শত শারীরিক আর মানসিক যন্ত্রণায়
কাটে যার সকাল-সন্ধ্যাবেলা,
তারই মাঝে সন্তানের অসময়ে
সহসা ভরসা দিয়ে যান।
দুনিয়ার সব রঙ্গিলা কথার চেয়ে,
মায়ের রংহীন বাক্যই শ্রেয়;
কৃত্রিম এই চাকচিক্যময় সাজের চেয়ে
মায়ের পরশটাই আমার কাছে প্রিয়।
___________________________________
শিক্ষার্থী:__গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ,ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
ঠিকানা:পশ্চিম এলাহাবাদ,চন্দনাইশ,চট্টগ্রাম।