সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জে জলকন্যা সাহিত্য পরিষদের নিয়মিত প্রকাশনা,জলকন্যা কাব্যগ্রন্থে”র মোড়ক উন্মোচন ও গুনীজনদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় সুনামগঞ্জের কৃতি সন্তান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখক,সাংবাদিক ও গবেষক রনেন্দ্র তালুকদার পিংকুর পৃষ্টপোষকতায় শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়নে জলকন্যা কাব্যগ্রন্থে”র মোড়ক উন্মোচন ও গুনীজনদের সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জলকন্যা সাহিত্য পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান কবি কোহিনুর বেগমের সভাপতিত্বে ও জলকন্যা পরিষদের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক মশিউর রহমান ও রোকসানা ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার সরকারী কলেজের (অবসরপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ সৈয়দ মহিবুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কবি ও গবেষক সুখেন্দু সেন,লেখক ও গবেষক কুমার সৌরভ,সুনামগঞ্জ পৌর ডিগ্রি কলেজের(অবসরপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ ও সাংবাদিক শেরগুল আহমদ,ইসলামগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ নুরুজ আলী,দৈনিক সুনামকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক বিজন সেন রায়,ডেইলি সুনাসমগঞ্জ ডটকমের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাংবাদিক রওনক আহমদ বখত,রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি সাংবাদিক লতিফুর রহমান রাজু,এডভোকেট মুজিবুর রহমান,এডভোকেট খলিল রহমান,রাজেশ কান্তি দাস,আলহাজ¦ শেখ এম এ ওয়ারিশ,কবি ইয়াকুব বখত বহলুল,সলিল বাচ্চু,সহ অনেকেই । এছাড়াও এ সময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণপেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা শুরুতেই সুনামগঞ্জের কৃতিমান পূরুষ,যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক,লেখক ও গবেষক রনেন্দ্র তালুকদার পিংকুকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পিংকুর পৃষ্টপোষকতায় প্রবাসে শত ব্যস্ততার মাঝে ও নারীর টানে প্রতিবছরই সুনামগঞ্জের কবি,সাহিত্যিক ও লেখকদের পর্যায়ক্রমে সম্মাননা প্রদান করে সুনামগঞ্জের সুনামকে বর্হিবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
তারা বলেন,হাওরের জেলা সুনামগঞ্জ হচ্ছে কবি,সাহিত্যিক,লেখক ও সংস্কৃতির একটি উর্বর জায়গা। এই কবি সাহিত্যিক,সাংবাদিক ও লেখকরা তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখা কবিতাগুলো লিখে তা প্রকাশ করে জাতীয়ভাবে স্থান করে নিয়েছেন। এই জেলায় অসংখ্য আউল বাউলের গান ও কবিতা বর্হিবিশ্বের মানুষ সুনামগঞ্জকে কাছে থেকে জানার চেষ্টা করেছে। এনালগ যুগ থেকে ডিজিটাল যুগে প্রবেশের ফলে সুনামগঞ্জে আগামী নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আরো ভাল ভাল কবিতা লিখতে গবেষনা করে সুনামগঞ্জের সুনামকে বিশ্বের কাছে ভালভাবে তুলে ধরবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে উপস্থিত সুধীজনরা গুনীজনদের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন।