বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৩ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানে না। তারা পনেরো বছরে এই জাতির কত বড় ক্ষতি করেছে!

Coder Boss
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৯ Time View

লেখক: অথই নূরুল আমিন
================

একান্ত দলীয় মনোভাব নিয়ে গত পনেরো বছরের বেশি সময় ধরে, যারা আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত ছিল, বিভিন্ন পদপদবীতে। তারা অনেকেই জানেই না। এই জাতির কাছে কত বড় অপরাধী হয়েছে আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে শেখ হাসিনাসহ দলের নীতিনির্ধারকগণ, মন্ত্রী, এমপি তারা তাদের নিজেস্ব মতবাদ প্রকাশ বা ব‍্যক্ত করতে গিয়ে, বারবার তাদের মুল ভাষ‍্যই ছিল বিএনপি, জামায়াত, শিবিরও ইসলামী দলগুলো। নেত্রকোনা একজন পিচ্চি বক্তা উচ্চতায় চার ফুটের ও কম। অবশেষে এই কুৎসিত মনা আওয়ামী লীগের মত একটি রাজনৈতিক দল। সেই মাদানীকেও গ্রেফতার করিয়েছিল। ছি আওয়ামী লীগ ছি।

এককথায় আওয়ামী বিরোধী কোন জনগণকে তারা কোনভাবেই সহ‍্য করতে পারত না। এটা ছিল তাদের রাজনৈতিক চরিত্রের প্রথম ধাপ। অথচ ওরা একবারও ভাবেনি, যারা বিএনপি জামায়াত অথবা ছাত্র শিবির করছে। তারাও জন্মসূত্রে এই দেশের নাগরিক। এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরই ভাই,ভাতিজা, ভাগ্নে শালা- সমন্ধি, ফুফা- খালু, চাচা তারাই কিন্তু অন‍্য দলগুলোর কর্মী অথবা সমর্থক। অথচ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আওয়ামী মন্ত্রী, এমপিরা বিভিন্ন ভাষণে ইচ্ছে মত গালাগালী এবং বদনাম করেই যাচ্ছিল। তাও আবার মাইক লাগিয়ে। মিডিয়া ডেকে। এছাড়া মামলা হামলা দেশ ছাড়া এলাকা ছাড়া সবই তারা করেছিল। বুক ফুলিয়ে। আজকে সকালেও একজন আওয়ামী লীগ কর্মী আমাকে ফোন দিয়ে বলছে। আপনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লেখালেখি করছেন। তাহলে আপনি কিসের রাষ্ট্র বিজ্ঞানী। প্রিয় পাঠক, আওয়ামী বিরোধী লেখালেখি করলে আওয়ামী কর্মীরা আপনাকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানী মানবে না। যদি সে জাতিসংঘ স্বীকৃতি প্রাপ্ত রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ও হয়। কারণ ওরা তো জ্ঞানের জগতে মুর্খ। ওদের আমলে সিংহভাগ এমপি মন্ত্রী ছিল মুর্খ। তাই প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেলজয়ী হওয়ার পরেও আওয়ামী লীগের কাছে দু পয়সার কদর পায়নি।

এদিকে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিরা তাদের উন্নয়নের গুণগান এমন ভাবে প্রচার করতে লাগল, যেখানে তাদের অহংকারের বিষয়টি যেন ছিল প্রকাশ‍্যে। অথচ তখন প্রতিদিন বাড়ছিল, নিত‍্য পণ্যের দাম। জনগণের ভ‍্যাট ট‍্যাক্স আর বিদেশী ঋণ করে তারা তাদের পকেট ভারী হওয়ার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প। নিজেদের মত করে নিয়েছে। যেন তারাই রক্ষক তারাই ভক্ষকের ভূমিকায় রয়েছে। যেখানে পদ্মা সেতু ছাড়া দেশের মানুষের তেমন কল‍্যাণে আসেনি আওয়ামী লীগের হাজারো অকাজের উন্নয়ন। তারা যখন হুংকার দিয়ে দিয়ে ভুল উন্নয়ন করা শুরু করে, তখনও এক শ্রেণির মানুষেরা সমালোচনা করতে থাকে। এসকল সমালোচনা শুনে স্বয়ং শেখ হাসিনা বিএনপি জামায়াত বলে তিরস্কার করেছে দেশের সুশীল সমাজকে বিভিন্ন ভাষণে।

এদিকে সারাদেশের মানুষেরা ছিল কঠিন নির্যাতনের মাঝে, যেমন সরকারি সকল ধরনের সেবা পেতে জনগণের মোটা অংকের ঘুষ দিতে হয়েছে প্রকাশ‍্যে। একটি রাজনৈতিক দল জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পরও যদি, দেশের জনগণকে ঘুষ দিয়ে ভূমি অফিস, রেজিষ্টারী অফিস, মন্ত্রণালয়ে অধিদপ্তরে প্রাপ্ত সেবা নিতে হয়। তাহলে একটা রাজনৈতিক দলের কাজটা কি? রাজনীতি যদি জনগণের জন‍্য হয়। তাহলে জন্ম নিবন্ধন করতে কেন ঘুষ দিতে হবে?

জ্ঞান শূন্য আওয়ামী লীগ গত পনেরো বছর ধরে উন্নয়ন উন্নয়ন তবজি জবতে জবতে। দেশের দশ লাখ শিক্ষিত ছেলে মেয়েকে বেকারসহ ছোট বড় মোট ছয় কোটি মানুষ বেকার করে দিল। করেনি কোন মিল ইন্ডাস্ট্রি। করেনি কোন কর্মমুখী প্রতিষ্ঠান। এই বিষয়টি আওয়ামী লীগের প্রধানসহ দেশের মন্ত্রী এমপি তাদেরকে আর বুঝানো গেল না কোনভাবেই। ২০২৪ জাতীয় নির্বাচনে তাদের সমর্থক ছিল ৫ শতাংশর কম। তখনও আওয়ামী লীগ তাদের উন্নয়ন আর উন্নয়ন নিয়েই মগ্ন ছিল।
বৈষম্যবিরোধী গোটা ছাত্র সমাজকে শেখ হাসিনা অকথ‍্য ভাষায় গালাগালী করেছে। রাজাকারের সন্তান। রাজাকারের নাতি পুতি বলেছে। এখানে হাসিনা একজন মুর্খের পরিচয় দিয়েছে। এককথায় বাংলাদেশের নব প্রজন্মের হাসিনা এই নামটা যেন ঘৃণায় পরিণত হয়েছে। যার ফলে গতকাল নয়টা ভাষণ দিবে এরকম খবর ছড়িয়ে পড়তেই ছাত্র জনতা অগ্নেয়গীরির মত জ্বলে উঠেছে। যার ফলে ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর, খুলনার শেখ বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আবার আঘাত আনতে শুরু করে। এর মুল কারণ হলো আওয়ামী লীগের গত পনেরো বছরে দেশের ৮৫% মানুষ আওয়ামী লীগের কাছে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন আর অবহেলা পেয়েছে। তাই দেশের সিংহভাগ জনগণ আওয়ামী লীগের মতো একটি বাজে চরিত্রের রাজনৈতিক দল এই দেশে থাকুক এটা আর তারা চায় না। তার মুল কারণ হলো আওয়ামী লীগ দেশের আপামর জনগন নিয়ে রাজনীতি করেনি। আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনীতি দল যেখানে কোন একজন সু শিক্ষিত লোক তাদের কোন কমিটিতে ছিল না। তাই ঐ টোকাই নেতারা কেউ পড়েনি কবি সুফিয়া কামালের ” একটু খানি ভুলের তরে ” শিক্ষামুলক কবিতাটি।

———————-
অথই নূরুল আমিন,
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102