চোখের কান্না
==========
চোখের জলে ভাসছে হৃদয়
কে দিবে আজ শ্বাস,
কাকে নিয়ে বাঁধবো ঘর
করবো কাকে বিশ্বাস।
চক্ষু হৃদয় যায় না মোছা
বাহির কাপড় দিয়ে,
প্রিয়জনের কান্নায় আজ
হৃদয় যাচ্ছে ক্ষয়ে৷
মন পাঁজরে মনের কথা
সঙ্গে কি’ বা আছে?
রাত দুপুরে উঠতে জেগে
আছো হৃদয় মাঝে।
কত আলাপ করতে তুমি
কান্না-কাটির সুরে,
ভেঙ্গে যেতো হৃদয় খানা
যেতাম তখন মরে।
শিমুল তোলায় বসতে যখন
কালো কেশটা ছেড়ে,
হইতো তখন মনে আমার পরী
আসলে আকাশ ফেঁড়ে।
চোখ দুটি তার হরিণ টানা
কেশ ছিলো তার কালো,
মিষ্টি কোথায় দিন ভুলানো
অন্ধকারের আলো।
নিস্তব্ধ দেহ
========
জীবত দেহ নিথর হবে
নিঃশ্বাস হবে বন্ধ,
রাজত্ব আর কবির কবিতা
থমকে রবে ছন্দ।
মিঠান্ন ও তিক্তা হবে
স্থির হবে মন,
জীবন নামের খাটিয়াটা
কাধে নিবে চারজন।
গাড়ি হলো বাড়ি হলো
নিজের কিছু নয়,
রাজত্ব আর ধনসম্পদ
পরেতো সবই রয়।
আদরের সন্তানেরা
কাঁদছে বাবা বলে,
আমায় তুমি একা করে
কেনোই গেলে চলে।
বন্ধু বান্ধব আসবে বাড়ি
দেহ থাকবে পড়ে,
আমার জন্য কত জনের
অশ্রু পরবে ঝরে।
কত জনে বলবে এসে
গোরস্থানে যাও,
তাড়াতাড়ি লাশটাকে
কবর দিয়ে দাও।
গরম পানি করবে সবাই
বরই পাতা দিয়ে,
আতর সুরমা গায়ে দিয়ে
যাবে আমায় নিয়ে।
জীবন নামের রেল গাড়িটা
তখনই হবে শেষ,
দুনিয়াতে যতই জীবন
ছিলো রঙিন বেশ।