মিজানুর রহমান মিজান, বিশ্বনাথ (সিলেট) থেকে:
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের মিয়ারবাজারের নিকটস্থ বিষ্ণুপুর সিদ্ধ বকুলতলা ধামে ৩ দিনব্যাপী শ্রীশ্রী ঠাকুর বৈষ্ণব রায়ের অন্তর্ধান মহোৎসব মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) থেকে শুরু হচ্ছে। শত শত বছর পূর্ব থেকে প্রতি বছরের মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে ওই মহোৎসব পালন হয়ে আসছে। দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলের গন্ডি পেরিয়ে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এসে ৩ দিনব্যাপী (১১, ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারী) ওই মহোৎসবে যোগদান করেন।
চৌষট্টি মোহান্তের অন্যতম শ্রীল নারায়ল বাচস্পতির পুত্র শ্রীশ্রী ঠাকুর বৈষ্ণব রায় প্রায় ৫শত বছর পূর্বে গৌরভ‚মি শ্রীহট্টে আসিয়া বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামে শ্রীপাট স্থাপন করে শ্রীভ‚মির তাপিত মানুষকে শ্রীচৈতন্যের নাম ও প্রেমের পথে সঞ্জীবিত করিয়া মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে সিদ্ধ বকুল বৃক্ষে লীন হন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯টায় শ্রীশ্রী কালাচাঁদের অর্চ্চনার মাধ্যমে মহোৎসব শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯টায় শ্রীশ্রী নাম ও লীলা সংকীর্ত্তন সমর্পন (পুর্ণা)’র মাধ্যমে শেষ হবে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারী) ব্রাক্ষমুহুর্ত থেকে শ্রীশ্রী নাম ও লীলা সংকীর্ত্তন পরিবেশন এবং দুপুর ২টায় মহাপ্রসাদ বিতরণ শুরু হবে। শ্রীশ্রী নাম ও লীলা সংকীর্ত্তন পরিবেশন করবেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মদনপুরের সোনার গৌর সম্প্রদায়ের বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী, সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলার শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য সংঘের নিরঞ্জন দাস, সিলেটের দাড়িয়াপাড়ার নিশিকান্ত তালুকদার, জকিগঞ্জ উপজেলার বড়চালিয়ার বিধান ধর।
শ্রীশ্রী ঠাকুর বৈষ্ণব রায়ের অন্তর্ধান মহোৎসব সুষ্ট, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সরকার ও প্রশাসন’সহ সমাজের সর্বমহলের সার্বিক সহযোগীতা ও উপস্থিতি কামনা করেছেন শ্রীশ্রী ঠাকুর বৈষ্ণব রায় সিদ্ধ বকুলতলা ধাম সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রহলাদ চন্দ্র দেব ও সাধারণ সম্পাদক শংকর দাস শংকু।