এস এম রকিবুল হাসান
নিয়ামতপুর নওগাঁ প্রতিনিধি
নিয়ামতপুর উপজেলার ৮ নং বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গুজিশহর (সাতপুকুরিয়া) গ্রামের বাসিন্দা তৈয়ব আলীর নবম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়াকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে, একই গ্রামের বাসিন্দা সাথী খাতুন সহ আরো বেশ কিছু লোকজনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুমাইয়ার মা জহুরা বেগম নিয়ামতপুর থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন, অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫/২/২০২৫ তারিখ রোজ রবিবার বেলা আনুমানিক ১১ টার দিকে গুজিশহর (সাতপুকুরিয়া) গ্রামের শামীমার সাথে সাথীর গন্ডগোল হয়, এমত অবস্থায় পাশের বাড়ির একটি মেয়ে শামীমাকে জহুরার বাড়ির বারান্দায় লুকিয়ে রাখে।
জহুরার বাড়ি থেকে শামীমাকে বের করে দেওয়ার জন্য সাথী দরজার সামনে এসে গালিগালাজ করতে থাকে।
এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে একই তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে সাথী ও তার লোকজন জহুরার নবম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে (১৪) সুমাইয়াকে মারপিট করে।
জহুরা তার মেয়েকে মারপিটের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে তাকেও এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করে।
এমন পরিস্থিতিতে গ্রামের কিছু লোকজন জহুরা ও তার পরিবারের সদস্যদের বাড়ির ভেতর ঢুকে দিলে তারা বাড়ির ভেতর আশ্রয় নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এখন বর্তমানে সুমাইয়া নিয়ামতপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করছে।
ভুক্তভোগী সুমাইয়া খাতুন এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
তবে এ ঘটনার সময় সাথীর স্বামী নজরুল তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুজিশহর টাওয়ারের মোড়ে ছিলেন বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত সাথী খাতুন জহুরা ও তার মেয়েকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।