কলমেঃ মুবাশ্বেরা করিম।
এক প্রশান্তির ভোরবেলায় বারান্দায় দাঁড়িয়েছিল মিনু। নজর পড়ল চমৎকার শিশিরের ছোঁয়ায় অনেক বেশি প্রাণবন্ত গাঁদার সারির দিকে। হঠাৎ মনে হল বাগানের গাঁদাগুলোর দিকে তাকিয়ে যুগের পর যুগ পার করে দেয়া যাবে হয়তো তার। স্কুল খুললে আর এমনভাবে বাগান দেখতে পারবেনা তাই হয়তো এমন মনে হল। কোনোকালেই বাগানের বিষয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না মিনুর।হঠাৎ এমন হৃদয়াবেগ কেন হল কে জানে। বাগানের দিকে বের হতে যাবে এমন সময় পিঠা খেতে ডাকে মিনুর মা। পিঠার প্রতি তেমন আকর্ষণ না থাকা সত্ত্বেও নিয়ম রক্ষার্থে টেবিলে বসতে হল। দিন দুই পর ওর বড় খালা আসে। সেই সাথে খালাতো বোন রিনা। তার মা তাকে সংসারের কোন কিছুই বলেনা। তাই ওর জানার কথাও ছিলনা আজ খালা আসবে। হঠাৎ শোনা গেল রিনা আপুর এখানের এক ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক। ছোটখাট করে একটা হলুদের আয়োজন করল মা। হলুদের দিন হঠাৎ খেয়াল করে গাছের গাঁদাগুলো তোলা হয়ে গেছে।পরেরদিন মিনু একবার তাকাল ফুলশূন্য গাছগুলোতে। আজকে কেন জানি পুরো বাগানের প্রতি অধিকারবোধ জেগে উঠল ওর মনে। কারণ এ বাগানেই তো ছিল তার সেই প্রিয় সোনারঙা গাঁদা। গাঁদাগুলো তো ছিল এ বাগানেরই। অনেকদিন পার হল। পুরনো গাঁদাগাছের জায়গা এখনও খালি। সেখানে চমৎকার ঘাসের আসন। পুরো বাগানের যত্ন এখন মিনু নিজে করে যাতে সেই আসনে অন্য কোন গাছের কোনোদিন জায়গা না হয়।