সেই বসন্তকাল
———————
আমার বাড়ির পূর্বদিকে ছিলো শিমুল গাছ
লাল ফাগুন দেখা যেতো পড়লে রোদের আঁচ।
বুঝা যেতো আমার দেশে এসে গেছে বসন্ত
লাল লাল শিমুল ফুলে ঝড়তো আগুন অনন্ত।
কুহু কুহু ডাকতো কোকিল সকল শিমুল গাছে
বসন্তকাল অনুভবে আসতো চক্ষু বুঝে।
কুয়াশা জল গমের শীষে মানিক মতো জ্বলতো
তাই না দেখে হৃদয় মনে হর্ষ ভরে আসতো।
এখন তো আর শিমুল গাছ পড়ে নাকো চোখে
আসে নাকো কর্ণপাতে কখন কোকিল ডাকে।
গমের ক্ষেত নেইকো আর নেইকো গমের শীষ
বসন্তকে বারংবার তাইতো করি মিস।
লাল লাল শিমুল ফুল আর পরে না চোখে
বসন্ত আর বসন্ত নেই প্রকৃতির বুকে।
নাম শুধু বসন্তকাল বইয়ের পাতায় আছে
বসন্ত নেই হৃদয় মাঝে নেই বঙ্গ মাঝে।
আগেকার বসন্তকাল সেই শিমুল ফুল
কোকিল রব ভরিয়ে দিতো হৃদয়ের কুল।
——————————–
কার কাছে উত্তর আছে
——————————–
একি হলো গজব এলো আমার বাংলাদেশে
সতেরো বছর গজব ছিল দেশের সাথে মিশে।
সতেরো বছর আজাব গজব সহ্য করেছি মোরা
এখনো আবার নতুন নতুন গজব দিচ্ছে ধড়া।
এখনো সোনার বাংলাদেশে দলাদলি কোন্দোল
এখনো বয় রুধির ধারা ফাঁকা মাঠে হয় গোল।
একটার পর একটা আজাব আগুনের মতো এসে
করেছে নষ্ট সুখ শান্তি আমার সোনার দেশে।
বানের জলের মতো করে বাড়ছে দ্রব্য দাম
দ্রব্য কেনার মুদ্রা যোগাতে চুুইছে মোদের ঘাম।
চাল ডাল আর নুন তেলে আগুন জ্বলছে যেন
পায়না খুজে উত্তর কোন এমন হলো কেন?
সতেরো বছর জ্বলে পড়ে অঙ্গার হয়েছি মোরা
এখনো কি মোদের হাতে শান্তি দেবে না ধড়া?
সহ্য করেছি বহুত মোরা সইবো কতো কাল
আর কতো দিন জ্বলবো মোরা পুড়বে মোদের ভাল?
নিরবে নিগূঢ়ে আমরা কেবল ফেলেছি চোখের জল
পায়নি কভূ আমজনতা স্বাধীনতার ফল।
জ্বলবো আর পুড়বোই যদি স্বাধীন হলাম কেন
জানতে চাই কার কাছে উত্তর আছে হেন?
———————–
ভুট্টা চাষের কথা
———————–
চতুর্দিকে ভুট্টা ফসল সবুজ আর সবুজ
ভূট্টা হলো ধনের প্রতীক মানিক্য স্বরূপ।
ভূট্টা দেখে চাষীদের ভরে গেছে মন
গত বছর ভূট্টা ফসল হয়নি এমন।
মোটা মোটা গাছগুলো দেখতে বাহার
চাষীদের চিত্ত হতে মুছছে আঁধার।
চাষীদের মনে আশা দাম থাকে যদি
বেশ ভালো টাকা পাবে ভুট্টার চাষী।
ফসল কাটার সময় থাকে নাকো দাম
দুঃখে আর কষ্টে ফাটে হৃদয়ের চাম।
চাষীদের দুঃখ কষ্ট বুঝেনা সরকার
অথচ নিত্যই ভাঙে তাদেরই ঘাড়।
তাদেরই ঘাড়ে চড়ে বেড়ায় সরকার
তাদেরই টাকা হতে মিটায় দরকার।
তাদের কষ্টের শস্য ঘরে আসে যবে
সরকার কিনে তা অতি ক্ষীণ দামে।
—————————
প্রতি রাত শবেবরাত
—————————-
রাত্রিবেলার তিন প্রহরে প্রথম আসমানে
আল্লাহতালা নেমে এসে ডাকে মানুষ গনে।
ডেকে বলে” ওহে মানুষ আমার কাছে চাও
যার যা লাগবে আমার কাছে নাও।
বিপদ যদি থাকে তোমার করবো উদ্ধার
আমার কাছে চাও মানুষ ঘুমিও না আর।
অঙ্গে যদি অসুখ থাকে সেফা চেয়ে নাও
আমিই তোমায় সেফা দেবো দুহাত তুলে চাও।
অভাব যদি থাকে তোমার অর্থ দেবো হাতে
খাদ্য যদি না থাকে খাবার দেবো পাতে।
চাকরি যদি না থাকে চাকরি করে দেবো
সুখী হবে তাতে তুমি ধনীদের মতো। ”
তাইতো বলি মুসলমানের প্রত্যেকটা রাত
তোমরা যাকে বলে থাকো লাইলাতুল বরাত।
দিন তারিখ নেই কোন শবে বরাত বলে
গোস্ত রুটি খাও যারা তোমরা যার ছলে।
ইসলামিক পণ্ডিত গুলো এই অনুষ্ঠান
বিদাত বলে নাম দিয়েছে নেই সন্দিহান।
লাইলাতুল কদর আছে কুরানে উল্লেখ
সে রাতের কদর করো যতো মুমিন শেখ।
দিনের বেলা সিয়াম রেখে রাত্রে পড়ো সালাত
তাতে করে বুঝা যাবে ইসলামী হালাত।
বিদাত ছেড়ে খাঁটি ভাবে হও মুসলমান
রক্ষা করো সবাই মিলে ইসলামী সম্মান।