নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
নরসিংদী জেলা শিবপুর উপজেলার জয়নগর অনার্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা,অভিভাবক, জমিদাতা,সুশীল সমাজ ও এলাকাবাসী।
গত ৫ ই আগষ্ট পর পর ই ছাত্র-জনতার গণ অভুত্থানের বিগত সরকারের পতন হলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা,অভিভাবক, জমিদাতা,সুশীল সমাজ ও এলাকাবাসী অধ্যক্ষের অপসারণ ও বিচার দাবীতে আন্দোলন করে আসছে।
এই ব্যাপারে উক্ত আন্দোলনের সমন্বয়কারী আ:বাতেন জানান, শিবপুর জয়নগর অর্নাস কলেজ আমাদের আস্থা স্থান। বর্তমান অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন তিনি আমার ও স্যার, তিনি উক্ত কলেজে ভাইস প্রিন্সিপাল থাকাকালীন সময় থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছে,নিজের ইচ্ছেমত। উক্ত কলেজে আগে আনুমানিক ৫০০ উপরে ছাত্র-ছাত্রী নিয়মিত থাকতো
জামাল উদ্দিন স্যারের কারণে আজ ১শত উপরের ছাত্র-ছাত্রী হবে। একটি কলেজের প্রাণ ছাত্র-ছাত্রী, সেখানে যদি শিক্ষকের কারণে ছাত্র -ছাত্রী কমে যায় তাহলে তো ঐ শিক্ষকেই তার দায় নিতে হবে।অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন স্যার ২০১১ -২০২৩ ইং, ১৩ বছরের টিউশন সরকারী ফি বাবদ ১৫ লক্ষ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে তা কলেজের ফান্ডে জমা না দিয়ে কিংবা শিক্ষক, কর্মচারীদের মাঝে বরাদ্দ না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে। তাছাড়া উক্ত কলেজের আ:কাদির মোল্লা ১০ লক্ষ টাকার অনুদানসহ,আনুমানিক ৩১ লক্ষ কলেজ ফান্ডের টাকা গায়েব।অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিনের বিরোদ্ধে একটি শ্বেত পত্র জমা দিয়েছি।
এই ব্যাপারে উক্ত কলেজের শিক্ষক কামাল উদ্দিন বলেন,উক্ত অধ্যক্ষের ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, আমি এক তদন্ত কমিটিতে ছিলাম পরবর্তী বিগত সরকারের মরহুম একজন নেতার কারণে তদন্ত শেষ না করে অধ্যক্ষ বহাল তবিয়তে
বর্তমান দেশ জাতির সংস্কারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা,অভিভাবক, জমিদাতা,সুশীল সমাজ ও এলাকাবাসী অধ্যক্ষের অপসারণ ও দুর্নীতির
বিচার দাবীতে আন্দোলন করে আসছে,আমরা যারা শিক্ষক রয়েছি আমরা বার বার অধ্যক্ষের কারণে বৈষম্যের শিকার হয়েছি,এখন তার প্রতিকার চাই। এই ব্যাপারে আমাদের কলেজের বর্তমান সভাপতি, শিবপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ সজীব স্যারের কাছে শিক্ষকরা গিয়ে কলেজের বর্তমান পরিস্থিতি জানাই।
অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন জানান,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা যড়যন্ত্র ও মিথ্যা।
জয়নগর অর্নাস কলেজের সভাপতি, শিবপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ সজীব বলেন,উক্ত ব্যাপারে কলেজের কয়েকজন শিক্ষক আমার সাথে যোগাযোগ করেছে, কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি যেহেতু কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে পরবর্তী তদন্ত করে ব্যবস্থা করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।