লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলে লেনস্কি কে হোয়াইট হাউজ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বের করে দিলে তিনি সরাসরি গ্রেটবৃটেন যান এবং বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী তাকে সহায়তার আশ্বাস দেন! জার্মান ফ্রান্স কে ডেকে কথা বলেন এবং তারা-ও উদ্যমী আশ্বাস দেন! দীর্ঘ ১৯৪৫ সালের পর ইউরোপ আমেরিকা ওয়েল্ডিং করা পতিপত্নীরূপ ভঙ্গুর হয়ে বাইরে প্রকাশিত হলো!
প্রিয় পাঠক, ইউরোপ কে একটু জানুন, ইউরোপ খাবার নির্ভর চীনের উপর, প্রতিরক্ষা নির্ভর আমেরিকার উপর এবং তেল-গ্যাস নির্ভর রাশিয়ার উপর! এই হলো বিশ্বে ভদ্র বেশী গনতন্ত্র মানবতা দেশে দেশে লম্বা লম্বা কথা বলা ইউরোপ যারা আফ্রিকা কে আজ-ও কলোনি করে রেখেছে! আফ্রিকার লোকের দুর্দশার কারন ইউরোপ! বর্তমানে বেশ কিছু দেশ থেকে ফ্রান্স তাড়া খেয়ে পাত্তাড়ি গুটিয়ে পালিয়ে এসেছে!
গত দিনগুলোতে ইউক্রেনে যত বিলিয়ন সাহায্য দেয়া হয়েছে তার ৪০% ইউরোপ আর একা ৬০% আমেরিকা।
ইউরোপের ২২ দেশের কাছে যে পরিমান সেনা যুদ্ধাস্ত্র সাবমেরিন যুদ্ধ বিমান ট্যাঙ্ক আছে প্রায় সমান আছে একা রাশিয়ার কাছে! আগামী জেনারেশন যুদ্ধ তো এয়ার বা ল্যান্ডে হবে না, যুদ্ধ হবে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়! একা রাশিয়ার কাছে আছে ৫,৮৮৯ টা পারমাণবিক ওয়ার হেড ! ইউরোপের তেল-গ্যাস পরমাণু বোমার কাঁচামাল ইউরেনিয়াম কিনতে হয় রাশিয়া থেকে, আর-ও অনেক কিছু !
আমেরিকা কে ইউরোপ চ্যালেঞ্জ করতে গেলে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে! ইউরোপের ৭৫ হাজার মার্কিন সেনা আজ-ও আছে ইউরোপ রক্ষা করতে! জার্মানি ইটালি পোল্যান্ড বেশী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা আছে!
এশিয়ার জাপানে ৫০ হাজার সৈন্য সহ দক্ষিণ কোরিয়া সহ বেশ কিছু দেশে মার্কিন ঘাটি আছে। মধ্য প্রাচ্যর দেশগুলোতে ইরাক সিরিয়া বাহরাইন সব দেশে কমবেশি মার্কিন সেনা উপস্থিতি আছে! যে সব দেশ সেনা প্রত্যাহার চাপ দিচ্ছিলো, প্রত্যাহার শুরুও হয়েছিলো, সিরিয়া ও বাংলাদেশের সরকার পতনে সেনা প্রত্যাহার চাপ বন্ধ বরং নিজেরা অস্ত্বিত্বের সংকটে!
ইউরোপ কোন অস্ত্র অর্থ সেনা ইউক্রেনে দেয় নাই বরং গতকাল থেকে রাশিয়ার সৈন্য রা প্রবল আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন কে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ ঘোষণা করেছেন!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।
বাংলাদেশ কোনদিকে যাচ্ছে, কি হবে, হাতাশায় অনেক শতাংশ লোক শুধু কিছু “শিক্ষিত অশিক্ষিত” ভাবছে শেখ হাসিনা ফিরলে কি কি বলে বড় নেতা হবো আবার প্রতিপক্ষ “শিক্ষিত অশিক্ষিতরা” ভাবছে, দেশ ভারত নিয়ে যাক, মার্কিন ঘাটি হোক, পাকিস্তানের সাথে সংযুক্ত হোক সেটা কোন বিষয় না, মুজিব গোষ্ঠী তো গেছে ! ঐ বেটা বাংলাদেশ বানিয়েছিলো!
আহম্মকের স্বর্গ এই বাংলাদেশ বললে অতিরিক্ত বলা হবে না!